ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মেডিকেলে সুযোগ পেলেন ৫৩ জন

ফের সৈয়দপুরের জয়জয়কার

ফের সৈয়দপুরের জয়জয়কার

সৈয়দপুর সরকারি কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। সোমবার ক্যাম্পাসে প্রিয় শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা -সমকাল

 নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০১:২১ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৮:৩১

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উত্তীর্ণ ৫৩ শিক্ষার্থী এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গত রোববার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে অনেকে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এমন ধারাবাহিক সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছে কলেজটি।

দেশের উত্তরাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ থেকে প্রতিবছর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনেকে মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বুয়েট, কুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫২ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সুযোগ পান ৫২ শিক্ষার্থী, ২০২২ সালে ৩৬, ২০২১ সালে ৪৫, ২০২০ সালে ৪০, ২০১৯ সালে ৩৮, ২০১৮ সালে ৩৬ এবং ২০১৭ সালে ৩৯ শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে নানা পেশায় সাফল্য দেখাচ্ছেন।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের পাশে ১৯৬৪ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। এর আগের নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০২০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম বদল করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ করে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক ভালো ফল অর্জন করলেও এখানে নেই ডরমিটরি। নেই ভালো মানের ছাত্রাবাসও। শুধু ৬০ ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা আছে।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, এই প্রতিষ্ঠানে চাপমুক্ত পরিবেশে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পাঠদান করেন শিক্ষকরা। সরকারি কারিকুলামের বাইরেও পড়াশোনা ও পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সুমাইয়া শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করে দেন। তাই ভর্তিযুদ্ধ সহজ হয়েছে।’

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া তৌফিকা আক্তার বলেন, ‘এখানে পড়াশোনার পরিবেশ অনেক ভালো। স্যারদের পরিশ্রম আর আমাদের মনোযোগ এ সাফল্য পাইয়ে দিয়েছে।’

কলেজের অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত ৫৩ জনের নাম পেয়েছি। এর মধ্যে ছাত্রী ৩৩ ও ছাত্র ২০ জন। এই তালিকা আরও বাড়তে পারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের আন্তরিকতার কারণে এ ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছে শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।

অবকাঠামো সমস্যার বিষয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। এখানে ভালো ছাত্রাবাস নেই। ছাত্রাবাস নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হলে শিক্ষার্থীর সঙ্গে পড়াশোনার মানও বাড়বে।

আরও পড়ুন

×