ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দুর্গেই জাতীয় পার্টির দুর্গতি

সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন মোস্তফা

দুর্গেই জাতীয় পার্টির দুর্গতি

লোগো

স্বপন চৌধুরী, রংপুর

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ০১:১০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৮:১১

রংপুরে নিজ দুর্গেই চরম দুর্গতিতে পড়েছে জাতীয় পার্টি। কোনো দলীয় কর্মকাণ্ড নেই। কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ছাড়াও রংপুরে আছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্য। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর তারাও নিষ্ক্রিয়। দলীয় কর্মকাণ্ডে কারও কোনো আগ্রহ নেই। যদিও মাঝখানে মোস্তফার ডাকে কর্মী সমাবেশ ও প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেন নেতাকর্মী।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাড়ি রংপুর। তাঁর কারণে এ অঞ্চল একসময় ছিল ‘লাঙ্গলের ঘাঁটি’। জাতীয় পার্টির দখলে ছিল বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলার ২২ আসন। কিন্তু জোট করে সময়ের ব্যবধানে আওয়ামী লীগে বিলীন হয়ে গেছে তারা। সর্বশেষ গত বছর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে রংপুরে ছয় আসনের মধ্যে পাঁচটি পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু রংপুর-৩ (সদর) আসনে জয়ী হন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের লেজুড়বৃত্তি করায় জাতীয় পার্টিকে সাধারণ ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামীতেও সারা দেশে এ ধারা বজায় থাকবে।’

নেতাকর্মীর অভিযোগ, নির্বাচন এলেই আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থে জাতীয় পার্টির গলা টিপে ধরত; কোন্দল জিইয়ে ফায়দা লুটত। এত কিছুর পরও রংপুরে জাতীয় পার্টির নামটি টিকে আছে কো-চেয়ারম্যান মোস্তফার কারণে। পার্টির কর্মী নগরীর জুম্মাপাড়ার মাহমুদ আলী ও হনুমানতলার আবুল হোসেন বলেন, ‘দল-মত বুজিনা বাপু, মোস্তফা যেখানে থাকপে– হামরাও সেখানে থাকমো।’

জেলা জাতীয় পার্টির নেতা রহমত আলী, আবদুল গণি, মহানগরের নেতা আনিছুর রহমান ও সাদেক হোসেন বলেন, এরশাদের মৃত্যুর পর আধিপত্য নিয়ে সংকটে পড়ে পার্টি। গত বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের কূটকৌশলে পার্টি একেবারে তছনছ হয়ে গেছে। 

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চালে জামানত হারানোর হিড়িকে দুর্গেই দুর্গতি ডেকে এনেছেন জাপার প্রার্থীরা। নিজের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত নেতাকর্মী। তার পরও ঘাঁটি রক্ষার চেষ্টা চলছে।’

কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে কথা বলার স্বাধীনতাও ছিল না। কিন্তু দিন বদলেছে। মাথার ওপর থেকে কালো মেঘ সরে গেছে। দল সুসংগঠিত করতে তৃণমূলের নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্ত কাজ করছেন। রংপুর জাতীয় পার্টির ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’

আরও পড়ুন

×