ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চাঁদা না দেওয়ায় অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

চাঁদা না দেওয়ায় অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত

ছবি: সংগৃহীত

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:৪৩

চারঘাটে চাঁদা না পেয়ে ইউসুফপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিনকে লাঞ্ছিত করে কলেজের চেকবই ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামানসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ভ্যানে চারঘাট বাজারে ফিরছিলেন অধ্যক্ষ নুরুল আমিন। মুক্তারপুর এলাকায় পৌঁছলে তাঁর ভ্যানের গতি রোধ করেন বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক ও তিতাস। তারা অধ্যক্ষের শার্টের কলার ধরে ভ্যান থেকে নামিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে থাকা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের তিনটি চেকবই এবং রেজুলেশন ও নোটিশ খাতা ছিল। সোনালী ব্যাংকের ব্যক্তিগত ফাঁকা চেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও পকেটে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। 

অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান দলবল নিয়ে কলেজে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। তালা খুলতে বললে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় ভয়ভীতি দেখান। গতকাল পথরোধ করে জনসমক্ষে হেনস্তা করে সবকিছু কেড়ে নেন। আমি এখনও কলেজে যেতে পারি না।’ 

ইউসুফপুর কলেজের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন রোকনুজ্জামানের পরিবার জমি দান করেছিলেন। তারা এখন সে জমি ফেরত চান। ওই সময় বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্বে ছিলেন না। এ বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান। 

কলেজের সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান বিপ্লব বলেন, কলেজের বিরুদ্ধে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে রোকনুজ্জামান মামলা করেছেন। বিষয়টি আদালতে সমাধান হবে। দলবল নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হবার পথে। এছাড়া প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করাও দুঃখজনক। 

এ বিষয়ে মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘কলেজের নামে চারটি মামলা করেছি। সেগুলো বিচারাধীন। কলেজে তালা আমি লাগাইনি। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত বা ছিনতাইও আমি করিনি। কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তায় অধ্যক্ষকে হেনস্তা করে চেক ও ফোন কেড়ে নেয়। সেগুলো উদ্ধার করে আমার কাছে রেখেছি। সময়মতো ফেরত দেওয়া হবে।’

চারঘাট মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত চেক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।

আরও পড়ুন

×