ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দায়সারা মাটি ফেলে বানানো হচ্ছে বাঁধ

দায়সারা মাটি ফেলে বানানো হচ্ছে বাঁধ

সুনামগঞ্জের ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজারে চলছে মাটি ফেলানোর কাজ। ছবিটি মঙ্গলবার তোলা। ছবি: সমকাল

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৫:০০

তাহিরপুর উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজারের বাঁধের অংশে মাটি ফেলা হলেও হচ্ছে না দুরমুশের কাজ। বৃহৎ এ ফসল রক্ষা বাঁধটি তিনটি প্রকল্পের আওতায় ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজার বাঁধ নাম দেওয়া হয়েছে।

গত বছর বোরো ফসল ওঠানোর পর পরই পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ছিলানি তাহিরপুর গ্রামের পাশের স্থায়ী বাঁধের একাংশ ভেঙে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সে অংশে বাঁধ নির্মাণের কাজ নির্ধারণ করে।

এ অংশে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতিরা হলেন, ছাবিতুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও সুহেল মিয়া। বাঁধের ভেতরে রয়েছে মাটিয়ান, বনুয়া ও পালই হাওরের প্রায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমি।

জনগুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিদিনই এখানকার নির্মাণকাজের তদারকি ও পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধে শুধু এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি ফেলানো হচ্ছে। সেই মাটি সঠিকভাবে বসানোর জন্য দুরমুশ বা ফিক্সিং করা হচ্ছে না। এতে করে নদীতে আগাম পানি এলে বাঁধটি হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাছাড়া বর্ষাকালে বাঁধের মাটি ধুয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার জানান, বাঁধের কাজ ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী মনির হোসেন জানান, নির্মাণকাজ ২৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাঁধের মাটি দুরমুশ করার ব্যাপারে তিনি জানান, আপাতত পানির ওপর মাটি ফেলে বাঁধটি সংযোগ করা হচ্ছে। পরে আরও অনেক কাজ রয়েছে। সে সময়ে মাটি দুরমুশ করা হবে।

ছিলানি তাহিরপুর ক্লোজার বাঁধসংলগ্ন ছিলানি তাহিরপুর গ্রামের মাহমুদুর মিয়া জানান, বাঁধে এ পর্যন্ত ২০ ভাগ কাজ হয়েছে মাত্র। বাঁধে ফেলানো মাটিতে কোনো প্রকার দুরমুশ করা হচ্ছে না। এমনকি বাঁধ এলাকার কোনো অংশেই মাটি যথাযথভাবে বসানোর জন্য দুরমুশের কাজ দৃশ্যমান নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম জানান, উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ বিধায় তিনি এ বাঁধের কাজটিকে নিয়মিত পরিদর্শন ও নজরদারি করছেন।

আরও পড়ুন

×