ঢাকা শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাউজানে বিএনপির দুই দফা সংঘর্ষ, আহত ১৫ 

রাউজানে বিএনপির দুই দফা সংঘর্ষ, আহত ১৫ 

উপজেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সমকাল

রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা 

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:০২

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি ঘোষণার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এবং পরে মুন্সির ঘাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে রাউজান উপজেলা ও পৌরসভার সদ্য নির্বাচিত বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নবাগত ইউএনওর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন নেতাকর্মীরা। তারা বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী। এ খবরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীরা। সাক্ষাৎ চলাকালে ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে হট্টগোল বাধে। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রুপের সঙ্গে আকবর গ্রুপের মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ‌এ সময় পুলিশ দু’পক্ষের লোকজনকে উপজেলা পরিষদ মাঠ ছাড়তে বাধ্য করে। পরে উভয় গ্রুপের অনুসারীরা উপজেলা চত্বর থেকে মিছিল সহকারে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের মুন্সির ঘাটায় পৌঁছলে তাদের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। 

এই বিষয়ে রাউজান উপজেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। হঠাৎ কিছু দুষ্কৃতকারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় সভাপতি জসীম চৌধুরীসহ ১০-১২ জন আহত হয়। গত ১৭ বছর যারা বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না, তারাই এই হামলা করেছে। 

এই বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে পুনর্বাসন করতে তারা পকেট কমিটি করেছে। সেই কমিটি স্বৈরাচারীর দোসরদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলায় এলে সাধারণ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে গোলাম আকবরের অনুসারীরা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ সমকালকে বলেন, বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। তবে আমার অফিসের ভেতরে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন

×