ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা

চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা

ফাইল ছবি

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:০৪

ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা ছুঁইছুঁই। জেঁকে বসেছে শীত। মাঝেমধ্যে ভেসে আসছে বাঁশির শব্দ। দেখা গেল আটজন নানা বয়সী লোক লাঠি, চার্জার লাইট নিয়ে ঘুরছেন। গলায় ঝুলছে বাঁশি। বুধবার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া বাজার, ঘোষপাড়া ও স্কুলপাড়া ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
তারা জানান, ৫ আগস্টের পরে পুলিশের তৎপরতা কমে গেছে। এ সুযোগে এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তাদের প্রতিরোধে ১১০ পরিবার থেকে ১৬ জন কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে রাতে পাহারা দিচ্ছেন। ১৭ জানুয়ারি থেকে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
থানাসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত কুমারখালী থানায় ৬২টি চুরি, ডাকাতি ও দস্যুতার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাতটি চুরি, দুটি দস্যুতা, একটি ডাকাতির ঘটনা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। এসব মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে জানিয়েছেন কুমারখালী নাগরিক কমিটির সদস্য কে এম আর শাহিন। 
ভুক্তভোগীদের দাবি, চুরির ঘটনা ঘটার পর থানায় জানানো হয়। তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। কিন্তু জড়িতদের ধরতে পারে না। পুলিশের উদাসীনতায় গ্রামে চুরি-ডাকাতি বাড়ছে বলে মনে করেন তারা। 
সরেজমিন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি ঘোষপাড়া এলাকার বিমল ঘোষের বাড়ির জানালা দিয়ে চেতনানাশক স্প্রে করে দুর্বৃত্তরা। সবাই অচেতন হয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে নগদ এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। একই রাতে কয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে ৮-১০ জন ডাকাত। স্থানীয়রা টের পেলে তারা দ্রুত চলে যায়। ২৭ ডিসেম্বর কয়া স্কুলপাড়ার আবদুল মজিদের বাড়ির দরজা ভেঙে চার-পাঁচজন ডাকাত প্রবেশ করে। তারা সবাইকে জিম্মি করে ৪৫ হাজার টাকা এবং সাত-আট ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। 
কয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম 
আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন বলেন, ডাকাত ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে রাত জেগে পাহারার 
ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকেই 
ব্যবস্থা নিতে হবে। 
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, কিছু ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। অনেক ভুক্তভোগী পরে মামলা করতে আগ্রহ দেখায়নি। এরপরও কয়েকটি মামলা হয়েছে। ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন

×