ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখর মাইলমারী পদ্মবিল

পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখর মাইলমারী পদ্মবিল

মেহেরপুরের মাইলমারী পদ্মা বিলে অতিথি পাখির ঝাঁক। বৃহস্পতিবার তোলা সমকাল

 মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ০০:৩৮

স্কুলশিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা, আনিকা আশরাফী ও ফাহিম মুন্তাসিরের বাড়ির পাশেই বিশাল মাইলমারী পদ্মবিল। শীতবিকেলের বেশির ভাগ সময় তারা এখানেই ঘোরাঘুরি, খেলাধুলা করে কাটায়। জায়গাটি তাদের খুব পছন্দের। কারণ প্রতিবছর এই সময়ে পদ্মবিলে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি আসে। নানান জাতের এসব পাখির কলতানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। এসব দৃশ্য দেখতে শিশু ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করেন বিলে।
প্রায় ১২০ বিঘা জায়গাজুড়ে রয়েছে মাইলমারী পদ্মবিল। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার এই বিলে গত কয়েক বছরের তুলনায় পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বেড়েছে। কারণ, বিলপারের মানুষ উদ্যোগী হয়ে পাখি শিকারিদের পদ্মবিলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের প্রতিরোধের মুখে বর্তমানে পাখি শিকার বন্ধ। তাই ৫-৬ বছর ধরে সুদূর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, চীনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে পাখি বেশি আসছে। বিল এলাকায় এখন মুখর হরিয়াল, হাড়গিলা, রাতচোরা, বালিহাঁস, কাদাখোঁচা, ডাহুক, শামুকখোল, হটিটি, সরাইল, পানকৌড়িসহ নানা ধরনের দেশি ও অতিথি পাখি বিচরণ করছে। এসব পাখি সারাদিন বিলে পানিতে, কচুরিপানার ওপর ঘুরে বেড়ায়। রাত হলে আশ্রয় নেয় বিলপারের গ্রামগুলোর গাছে।
কৃষক সানাউল্লাহ গাজী ও আলমগীর হোসেন বলেন, দূরদেশ থেকে আসা পাখিদের আমরা নির্ভয়ে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছি। গ্রামবাসী একাট্টা– নিজেরা কেউ পাখি ধরব না, কাউকে ধরতেও দেব না। 
মেহেরপুর বার্ড ক্লাবের সভাপতি ও পাখি গবেষক এমএ মুহিত বলেন, নানা ধরনের পাখি মাইলমারী পদ্মবিলে দেখা যায়। কিছু শিকারি শীত এলেই বিভিন্ন ফাঁদ পেতে গোপনে পাখি শিকার করে। তবে সচেতন নাগরিকরা পাখির আবাসস্থল রক্ষা করছেন। ফলে নির্ভয়ে বিচরণ করছে পাখিরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিতম সাহা বলেন, বিলের পাখিরা যাতে নিরাপদে বিচরণ করতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন

×