ফারুক হত্যা মামলার রায়
প্রধান আসামি সাবেক এমপি আমানুরসহ ১০ জন খালাস

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৭:১৩ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৭:২০
টাঙ্গাইলে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে এই মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী দলীয় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম উঠে আসে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর খান পরিবারের চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরে আমানুর রহামন খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছর হাজতে থাকার পর জামিন পান তিনি। চলতি বছর ৫ আগস্টের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান। আরেক ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে রয়েছেন।
এ মামলার গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। গত ২৬ জানুয়ারি ফারুক হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন সমকালকে বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ২৭ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি, জেরা, কয়েকজন আসামি ও স্বাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে আদালতকে শোনানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রায় এক যুগ পর আজ রোববার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
- বিষয় :
- টাঙ্গাইল
- হত্যা মামলা