বিএনপি কর্মীর মামলায় ছাত্রদল নেতা কারাগারে

পিরোজপুর জেলা কারাগার। ছবি-সংগৃহীত
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫ | ১৯:২৪ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ | ২০:৩০
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছিলেন এক বিএনপি কর্মী। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১২ দিন ধরে কারাগারে আছেন স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতা। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
ছাত্রদল নেতার স্বজনের অভিযোগ, পারিবারিক শত্রুতার কারণে তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
যদিও বাদীর ভাষ্য, না জেনেই তাঁর নাম মামলায় জড়ানো হয়।
কারাগারে থাকা জাহিদুল ইসলাম উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ঢেপসাবুনিয়া ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঘোষেরহাট বাজার থেকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন নেতাকর্মী। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির কর্মী কবির হোসেন বাদী হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর ইন্দুরকানী থানায় মামলা করেন। ৪৯ আসামির তালিকায় বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। ৪৯ নম্বর নামটি ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলামের। মামলা থাকায় পুলিশ ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আটক করে। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। সেই থেকে কারাবন্দি জাহিদুল।
জাহিদুল ইসলামের বাবা সুলতান হাওলাদার জানান, তাঁর ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতি করে। কিন্তু পারিবারিক শত্রুতার কারণে ওই মামলায় জাহিদুল ও তাঁর বড় ভাই রনিকে আসামি করা হয়েছে।
যদিও মামলার বাদী কবির হোসেনের দাবি, না জেনেই জাহিদুলের নাম মামলায় দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্টে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেবেন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন হোসেন বলেন, জাহিদুল ইসলাম ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের পর জেনেছেন, ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাঁর জামিনের চেষ্টা করছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফরিদ হোসেন জানান, নাশকতার ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সেখানে যে একটি ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের নামও রয়েছে, তা জানতেন না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তাঁর জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করবেন।