ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

চরফ্যাসনে মাসোহারা না পেয়ে ইমামকে পিটিয়ে জখম

চরফ্যাসনে মাসোহারা না পেয়ে ইমামকে পিটিয়ে জখম

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২০ | ০৮:৩৭ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ | ০৮:৪৮

চরফ্যাসনে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম নুর হোসাইনকে মারধর করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। গত শনিবার বিকেলে চর কলমী ইউনিয়নের চর মায়া গ্রামের মোহাম্মদীয়া তামিমুল কোরআন নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে ধরে এনে দক্ষিণ মায়া সপ্রাবিয় মাঠে প্রকাশ্যে তাকে মারধর করা হয়। 

আহত ইমামকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শাহে আলম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার ওই মাদ্রাসা ময়দানে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার সকালে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলা মসজিদের ইমাম সমিতি।

আক্রান্ত ইমাম নুর হোসাইন জানান, তিনি চর মায়া গাজি বাড়ির জামে মসজিদে ইমামতি করেন। পাশাপাশি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মোহাম্মদিয়া তামিমুল কোরআন নামে একটি হাফেজি মাদ্রাসা গড়ে তোলেন। যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফেজ এই মাদ্রাসা থেকে মাসোহারা দাবি করে আসছেন। কিন্তু এই টাকা দিতে তিনি অস্বীকার করেন। শনিবার তিনি মাদ্রাসার বাইরে ছিলেন। এসময় হাফেজ মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন। নুর হোসাইন আসার পর শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে হাফেজ, কামাল, সুজন ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ ২টি মোটরসাইকেলযোগে এসে মাদ্রাসা থেকে তাকে তুলে দক্ষিণ চর মায়া সপ্রাবি'য় মাঠে নিয়ে আসে। সেখানে শশীভূষণ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাচ্চু হাওলাদারসহ কয়েকজন ইমামকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন ইমামকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শশীভূষণ থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহে আলম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

×