ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

খাবার খেয়ে অসুস্থ অনেকে, বিপদে গার্মেন্ট কর্মীরা

খাবার খেয়ে অসুস্থ অনেকে, বিপদে গার্মেন্ট কর্মীরা

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় চিকিৎসাধীন খাবার খেয়ে অসুস্থ কয়েকজন সমকাল

 পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | ২৩:৪৩ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ০০:২৬

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের গাজী খাঁ দক্ষিণ সোনারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গতকাল রোববার ১০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে অনেক গার্মেন্ট কর্মী কর্মস্থলে ফিরতে না পেরে বিপদে রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় গাজী খাঁ দক্ষিণ সোনারপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার বাড়িতে ছেলের আকিকার আয়োজন করা হয়। খাবার খেয়ে বিকেল থেকে অনেকের জ্বর, বমি, পেটব্যথা ও ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। শুরুতে সবাই বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও শনিবার থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অসুস্থদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি গার্মেন্টে চাকরি করেন। তারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সপ্তাহের শুরুতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু অসুস্থতার 
কারণে অনেকে ফিরতে পারেননি। ফলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন তারা।
খাবার খেয়ে আসার পর রাত থেকে পাতলা পায়খানাসহ জ্বরে আক্রান্ত হন আজিজুল হক। তাঁর পরিবারের অন্যদেরও একই অবস্থা। শাফিউল ইসলামেরও একই উপসর্গ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করি। আজ (রোববার) থেকে আমার অফিস খোলা হলেও অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি। জানি না চাকরি থাকবে কিনা।’
সপরিবারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বাবুনপুর গ্রামের এনামুল হক। তাঁর স্ত্রী সালমা বেগম এবং দুই মেয়ে আদিবা ও আতিকাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বামী-স্ত্রী দু’জন গাজীপুরে গার্মেন্টে চাকরি করেন। ছুটি শেষ হলেও তারা ফিরতে পারছেন না।
খাবারের আয়োজন করা লিটন মিয়া বলেন, ‘আমরা খুব যত্নসহকারে খাবারের আয়োজন করেছিলাম। তারপরও কীভাবে কী হলো, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা নিজেরাও অসুস্থ। এটি ষড়যন্ত্রও হতে পারে। নয়তো এমন হওয়ার কথা নয়।’
চলতি মৌসুমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি– জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম মণ্ডল রিমন বলেন, শুক্রবার থেকে হঠাৎ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় বেড়েছে। দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হওয়া পর্যন্ত অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। খাবারে এমন উপাদান থাকতে পারে, যা থেকে এ সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, অতিরিক্ত গরমে গরুর মাংসে সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। শ্রমিকদের যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য যোগাযোগ করছে পুলিশ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করা হবে।
 

আরও পড়ুন

×