ঢাকা রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নববর্ষেও হল খোলার দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নববর্ষেও হল খোলার দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ছবি: সমকাল

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭:০৫

হল খুলে দেওয়ার দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসন ভবনের সামনে ২৪ ঘণ্টা ধরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। হল না খোলা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থানের সিদ্ধান্তে অনঢ়। এদিকে একাডেমিক কার্যক্রম ও হল খোলার বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, হল খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল রোববার বিকেল ৩ টায় তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাতেও তারা সেখানে ছিলেন। এছাড়া নববর্ষের দিনেও তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনেই অবস্থান করছেন।

তারা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজু আহম্মদ তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। তবে হল খুলে না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদুর পেতে সেখানে অবস্থান করছেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাদের ব্যবহার্য কাপড় রোদে শুকাতে দেওয়া আছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রোববার রাতে তারা ২২ জন প্রশাসন ভবনের সামনে ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে এই ভবনের শৌচাগার ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের শৌচাগারে যেতে হচ্ছে। 

এদিকে ‘কুয়েট ১৯’ নামের একটি ফেসবুক পেজে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, আগামীকাল ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসগুলো খুলবে। সোমবার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় কবে থেকে হল খোলা এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া সভার আগে যদি তদন্ত কমিটি সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তাহলে সেই প্রতিবেদন নিয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

×