বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে মামার হাতে ভাগনে খুন

প্রতীকী ছবি
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭:৩৯
বেড়ানোর নাম করে রোহিঙ্গা কিশোর মো. একরামকে (১৩) নিয়ে গিয়েছিল তারই মামা মো. কামাল হোসেন। এর ১৩ দিন পর কামালের দেওয়া তথ্যেই চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় পাওয়া গেছে ওই কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ। মুক্তিপণ না পেয়ে কামাল তার ভাগনেকে হত্যার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
নিহত একরামের পরিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীর ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের জি-৩৭ নম্বর ব্লকে থাকে। তার বাবার নাম মো. ইদ্রিস। গ্রেপ্তার কামাল একই উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। কামাল সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ ব্রিকসের (বিবিসি) শ্রমিক।
একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস বলেন, ৩ এপ্রিল একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্যাম্প থেকে নিয়ে যায় তাঁর ভাই ইদ্রিসের শ্যালক মো. কামাল। পরে সে (কামাল) ইদ্রিসের কাছে মোবাইল ফোনে জানায়, একরামকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দিতে হবে। এতে রাজি হননি ইদ্রিস।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও একরামের সন্ধান না পেয়ে ইদ্রিস বাদী হয়ে ১৪ এপ্রিল রাতে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কামালকে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে সে (কামাল) জানায়, মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, তাদের সহায়তায় উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল আসামিকে নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার পাঠানিপুল এলাকার কৃষিজমি থেকে ওই কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
আজ বুধবার উখিয়া থানায় দেওয়া অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের ভাষ্য, অপহরণের পর মুক্তিপণ না দেওয়ায় মামার হাতে ভাগনে হত্যার শিকার হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে।