খাগড়াছড়িতে চবির ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ

অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীরা
রাঙামাটি অফিস
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯:৫৯ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ২০:০৪
খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে তারা অপহরণ হন বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ-প্রসীত) দায়ী করা হয়েছে। অবিলম্বে অপহৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে পিসিসি।
তবে ইউপিডিএফ অপহরণের কথা অস্বীকার করেছে।
অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী হলেন- চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।
পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, অপহৃত চবির ৫ শিক্ষার্থীরা পাহাড়ের বিঝু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। উৎসব শেষে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশে বাঘাইছড়ি থেকে দিঘীনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে যান। তবে ওই দিন চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট না পাওয়ায় তারা খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছু দূরে কুকিছড়া নামক এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। আজ সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরস্থ কুকিছড়া থেকে টমটম গাড়িযোগে খাগড়াছড়ি সদরের স্টেশনে যাওয়ার পথে গিরিফুল এলাকায় একদল অস্ত্রধারী তাদের গাড়ি গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রধারীরা টমটম গাড়িচালকসহ ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে।
বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী ও চালককে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অপহরণের সঙ্গে তার সংগঠন জড়িত নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, ইউপিডিএফ সবসময় নিজেদের মধ্যে সংঘাত বন্ধের পক্ষে। তাই এ অপহরণের ঘটনায় ইউপিডিএফ জড়িত থাকা প্রশ্নই আসে না। ইউপিডিএফকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে, এটি ষড়যন্ত্রের অংশ।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, ‘অপহরণের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইনে দেখছি। তবে অফিসিয়াল কাজে মহালছড়ি উপজেলায় আছি। তাই সদরে গেলে বিস্তার তথ্য নিয়ে জানাতে পারব।’