আশুগঞ্জ আড়তে নতুন ধানের সরবরাহ বেড়েছে, দাম কম
মোকামে ক্রেতা তেমন নেই

আশুগঞ্জে বেড়েছে নতুন ধানের সরবরাহ। ছবি: সমকাল
আনোয়ার হোসেন, আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ০১:৩৮
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বেড়েছে নতুন ধানের সরবরাহ। তবে ক্রেতা তেমন না থাকায় বোরো মৌসুমের এ ধানের দাম পাচ্ছেন না পাইকাররা। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম পড়েছে মণপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান নিয়ে আসা পাইকাররা জানিয়েছেন, দাম না পেয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। নতুন ধান না কেনার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, নতুন ধানে চালের গড় উৎপাদন কম হয়। চাহিদা কম বলে দামও পড়তি। তবে সরকার কেনা শুরু করলে ধানের দাম বাড়বে।
চৈত্র মাসের শেষ দুই সপ্তাহ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে নতুন বোরো ধান আশুগঞ্জ মোকামে উঠতে শুরু করে। প্রথম দিকে সরবরাহ কম থাকায় এবং বাজারে পুরোনো ধানের দাম বেশি থাকায় প্রতি মণ নতুন চিকন ধান ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৪০ এবং মোটা ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে বৈশাখের শুরুতে বাজারে ধানের জোগান বেড়ে যাওয়ায় চিকন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০ এবং মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়।
মিল মালিকরা জানান, এখন রোদ ভালো থাকায় কৃষক ধান চাহিদামতো শুকাতে পারছেন। সরকারও সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করবে। তখন দাম বাড়বে।
মোকামের পাইকার শফিকুল ইসলাম জানান, ২০০ মণ চিকন এবং ৫০০ মণ মোটা ধান মোকামে এনেছেন তিনি। মিলাররা ৮২০ থেকে ৯০০ টাকা দাম বলছেন। অথচ প্রথম চালানে একই মানের ধান ৯০০ থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আরেক পাইকার দুলাল মিয়া জানান, দ্বিতীয় চালানে ৭০০ মণ মোটা ধান মোকামে তুলে লোকসানে বিক্রি করেছেন তিনি।
মোল্যা এগ্রো ফুডের কর্ণধার মহিউদ্দিন মোল্যা ও রজনীগন্ধা এগ্রো ফুডের মালিক হাছান ইমরান জানান, বাজারে নতুন চালের চাহিদা কম বলে মিলাররা ধান কিনতে আগ্রহী নন। সপ্তাহ দুই পরে এমন অবস্থা থাকবে না। বাজারে শুকনো ধান উঠলে দাম বাড়বে।
উপজেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জহুরুল হক সিকদার অটো রাইস মিলের অন্যতম মালিক হেলাল সিকদার বলেন, সরকার ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করলে ধানের দাম বাড়বে।
- বিষয় :
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া