ঢাকা শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

টেকনাফে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী

টেকনাফে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯:৫৫ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৩:০৫

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তীব্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের। এই সংকটে মোকাবিলায় রোববার দুপুরে টেকনাফ সাবরাং খারিয়াখালি উপকূল অঞ্চলে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ও ইপসা’র আয়োজনে কৃষকদের নিয়ে ‘কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও সচেতনতামূলক’ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সাবরাং ইউপির প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন খান, ইপসার প্রকল্প সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল করিম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল টিও সেলিম উল্লাহ, লাইলিহুড স্পেশিয়ালিস্ট এবং বদরুজ্জামানসহ অনেকে। এসময় উপস্থিত ৫০ জন কৃষক-কৃষাণীকে এক সেট সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ এবং ইয়েলো কার্ড বিতরণ করা হয়।

ইপসার প্রকল্প সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল করিম বলেন, মালচিং হলো কৃষি বা বাগানের একটি পদ্ধতি। যেখানে গাছের গোড়ার মাটির ওপর শুকনো পাতা, খড়, মালচিং পেপার, কাঠের গুঁড়া ইত্যাদি ঢেকে রাখা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু প্রভাবে উপকূলী এই অঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই কীভাবে প্রযুক্তিসহ মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষাবাদ বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওসমান গণি নামে একজন কৃষক লবণাক্ততা এলাকায় একটি জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে ঝিংগা চাষের বাগান করেছে। এতে সেই লাভবানও হয়েছে। ফলে অনেক কৃষক এ মালচিং পদ্ধতি চাষ করতে আগ্রহ হয়েছে।

তিনি বলেন, মালচিং ব্যবহারে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। এ পদ্ধতির ফলে জনবল-খরচ অনেকটা কমানো যায়। যা কৃষকরাও লাভবান হয়। পাশাপাশি এই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও ব্যবহার করে অল্প পরিশ্রমে, কম খরচে ও বিষমুক্ত দ্বিগুণ পরিমাণ ফসল উৎপাদন করেত পারবেন। এতে করে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনিভাবে দেশের কৃষি খাত আরও শক্তিশালী হবে।  

চাষি ওসমান গনি বলেন, মালচিং দেওয়া ১৪টি বেডে ৩০ বার সেচ দেওয়া হয়েছে। মালচিং ছাড়া ৬টি বেডে ৮০ বার সেচ দেওয়া হয়েছে। এ মালচিং পদ্ধতিতে ঝিংগা চাষ করেছি। এতে আমার জনবল-ব্যয় কম হয়েছে। যার ফলে লাভবানও হয়েছি। আমার ঝিংগা চাষ করতে ৮-১০ হাজার খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা ঝিংগা বিক্রি করেছি। জমিতে আরও অনেক ঝিংগা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সাবরাং ইউপির প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই উপকূল এলাকায় ৬৩ হাজার বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে ৫০জন কৃষককে নিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য ওই এনজিওদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে কৃষকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন

×