ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

টেকনাফ সীমান্ত

ইউপি সদস্যসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

ইউপি সদস্যসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫ | ২২:৫০

সরকারি বরাদ্দের সিমেন্ট, বালু ও টিন। নেওয়ার কথা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে। কিন্তু তা পাচার করা হয়েছে মিয়ানমারে। এমন অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ দু’জনকে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী। এতে সেন্টমার্টিনের সৈকতকর্মী আশিকুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তারের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া সাত-আটজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। মামলায় নথিপত্র জালিয়াতি এবং মিয়ানমারে পণ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, ‘সেন্টমার্টিন পর্যটন তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্র’ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য আশিকুর রহমানকে ৯ বান্ডিল টিন, ৭০ ফুট কাঠ, ৩০ কার্টন টাইলস, ৩০০ ফুট বালি ও ২০ ব্যাগ সিমেন্ট সেন্টমার্টিন নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতিপত্র জাল করে ৪০০ ব্যাগ বানিয়ে সিমেন্টগুলো মিয়ানমারে পাচার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশিকুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চোরাচালানে জড়িত ‘সেভেনস্টার’ চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার নামে অনুমতিপত্রটি দ্বীপের ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তার গ্রহণ করেন। পরে শুনেছি এ অনুমতিপত্র নিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘টেকনাফ থেকে সিমেন্ট, বালি-টিনসহ একটি বোট সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলারটি দ্বীপে আসার মাঝপথে মিয়ানমারে ঢুকে গেছে বলে শুনেছি।’

আরও পড়ুন

×