চবির পঞ্চম সমাবর্তন
‘আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন উপলক্ষে বুধবার ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি লাখো মানুষের পদচারণায় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সমাবর্তন শেষে টুপি উড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। ছবি: সমকাল
শৈবাল আচার্য্য, চট্টগ্রাম ও মারজান আক্তার, চবি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫ | ০৬:৩৪ | আপডেট: ১৫ মে ২০২৫ | ০৬:৩৪
‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়/ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়/আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়/মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সেই গানের আবহ যেন ছড়িয়ে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাঁজে ভাঁজে। বহুদিন পর বন্ধুকে পেয়ে কেউ গেয়েছেন গান; কেউ প্রিয় সহপাঠীকে দেখে হয়েছেন আবেগাপ্লুত।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে এমন নানা দৃশ্য দেখা গেছে। ফরিদপুরের ছেলে ফজলে রাব্বি চবি ছেড়েছেন বেশ আগে। এর মধ্যে চুকিয়ে ফেলেছেন বিয়ের পাটও। যার সঙ্গে আটঘাট বেঁধেছেন, সেই সামিহা জান্নাতের বাড়ি চট্টগ্রামে। ছিলেন চবিরই ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। এবার সমাবর্তনে একসঙ্গে এসেছেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনে।
শুধু ফজলে রাব্বি কিংবা সামিহা জান্নাত নন, ২ হাজার ৩০০ একরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল দিনভর ছিল এমন অনেক ঘটনার ছড়াছড়ি। এদিন ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি লাখো মানুষের পদচারণায় অন্যরকম আবহ সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে মূল আয়োজন। বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকেল ৪টার পর থেকে আবারও আড্ডা ও মিলনমেলায় পরিণত হয় ক্যাম্পাস।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘পঞ্চম সমাবর্তন শুধু চবিতে নয়, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যতিক্রম ও বিশাল পরিসরে হয়েছে। এতে এক লাখের মতো মানুষের সমাগম ঘটে। জানা মতে, আর কোনো সমাবর্তনে এত মানুষ দেখা যায়নি। এটা শিক্ষার্থীদের সারাজীবনের স্মৃতিতে জায়গা করে নেবে।’ তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট উপাধি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। সবাই দারুণ একটি দিন পার করতে পেরেছেন।’
- বিষয় :
- চবি