ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

কোরবানির জন্য আলোচনায় ‘বগুড়ার ডন’, দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ

কোরবানির জন্য আলোচনায় ‘বগুড়ার ডন’, দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ

‘বগুড়ার ডন’-এর সঙ্গে তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল। ছবি: সমকাল

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫ | ১৮:৩৫

বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের দোগাড়িয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল। তার খামারে দুই বছর ধরে বেশ যত্নে লালন-পালন করছেন একটি গরু। নাম ‘বগুড়ার ডন’। নামটি দিয়েছে তার ছোট ছেলে। মালিকের ভাষ্য, গরুটির ওজন প্রায় ১১শ’ কেজি। বিশালাকৃতির পশুটি যে কারও দৃষ্টি কাড়বে।

রবিউল গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। ক্রেতা সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা বলেছেন। জেলায় প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাটে এমন চোখ ধাঁধানো গরুর দেখা মিলছে। তবে আলোচনায় রয়েছে ‘বগুড়ার ডন’। শাহীওয়াল ক্রস জাতের গরুটি শুধু ওজনে বা আকারেই বড় নয়, স্বভাবেও শান্তশিষ্ট।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় এবার সাত লাখ ৪৬ হাজার পশু কোরবারিন জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর খামারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জেলায় গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ পালনের খামার ছিল ৪৮ হাজার। এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজারে। একই সঙ্গে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এবার সাড়ে সাত লাখ পশু প্রস্তুত আছে।

তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল জানিয়েছেন, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। প্রাকৃতিক খাবার—খড়, ধানের গুড়া, ভুষি, ভাত ও পানি খাইয়েছেন। প্রতিদিন গরুটির খাবারের পেছনে খরচ হয় ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা। শান্ত স্বভাবের কারণে গরুটিকে লালন-পালন করাও ছিল সহজ। তার ভাষ্য, ব্যবসার পণ্য মনে করে নয়, নিজের সন্তানের মতো আদরে বড় করেছেন প্রাণিটি।

শিমুলের খামারে আরও ১৪টি দেশি ও শাহীওয়াল জাতের বড় গরু রয়েছে। প্রতিটির জন্যই রয়েছে আলাদা যত্ন ও পরিচর্যার ব্যবস্থা। তবে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে ডন। এ খামারির ভাষ্য, তিনি দুই বছর আগে রাজশাহী থেকে আড়াই লাখ টাকায় গরুটি কেনেন। তখন থেকেই প্রাকৃতিক খাবারে বড় করার পরিকল্পনা করেন, যাতে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। এখন তাকে দেখে সবাই মুগ্ধ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, গত বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ৭ লাখ ৩৪ হাজার। এ বছর বেড়ে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি হয়েছে। জেলার চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৯ হাজারের। চাহিদার চেয়ে কম সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। গত বছর জেলায় কোরবানি দেওয়া হয়েছিল সাড়ে ৪ লাখ পশু।

আরও পড়ুন

×