ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসন চান রাবি শিক্ষার্থীরা

রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসন চান রাবি শিক্ষার্থীরা

ছবি: সমকাল

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫ | ২২:০০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তপশিল ঘোষণা ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মো. মাহায়ের ইসলাম। বক্তব্য দেন সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাসেল, মতিহার হল ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের স্বাধীনতার পর পছন্দমতো লোককে পদে বসিয়েছি। আট মাস পার হওয়ার পর মনে হচ্ছে তাদের কোনো দায় নেই। ১৪০০ ছাত্র শহীদ হয়েছে। একটা স্বপ্নের জন্য অনেক জীবন চলে গেছে। অথচ তাদের আচরণে মনে হয় না জুলাই বিপ্লবের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। তারা শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, রাকসুই শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একটি নির্বাচিত রাকসুই পারে প্রশাসনের নিয়োগ কার্যক্রম থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে। এজন্য একটি মহল চায় না রাকসু নির্বাচন হোক। তাহলে সবকিছু ফাঁস হয়ে যাবে। 

ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক আহমেদ অভি বলেন, ক্যাম্পাসে আবাসন সমস্যা একদিনের নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। কাজ করেনি। প্রশাসনকে বলব আপনাদের নির্বাচন কমিশন অথর্ব। আপনারা শিক্ষার্থীদের অনুভূতির মূল্যায়ন যদি না করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হবে। রাকসু নিয়ে কোনো রকম টালবাহানা চলবে না। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের জমি কী কেউ কবজা করে রেখেছে? তাহলে কেন নতুন হল হচ্ছে না? আসলে প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এগুলো কোনো ব্যাপারই নয়। আমাদের পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সদিচ্ছা নেই। হল নিয়ে বড় একটা সিন্ডিকেট সক্রিয়। এ সিন্ডিকেটই চায় না বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ আবাসিক হোক। তাহলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, ‘উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বলেছিলেন ৬ মাসের মধ্যে রাকসু কার্যকর করবেন। প্রাথমিক কাজও সম্পন্ন হচ্ছে না। রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দাবি জারি থাকবে। উপাচার্য কোমর ভাঙা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কোমর ভাঙা কমিশনকে বয়কট করছি।’

আরও পড়ুন

×