সীমান্তে বন্যহাতির বিচরণ বেড়েছে, সতর্কতার পরামর্শ

ম্যাপ
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫ | ০৪:৪৫
শেরপুরের গারো পাহাড়ের গজনীতে বন্যহাতির আক্রমণে মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের মৃত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায়ই সীমান্ত সড়কের আশপাশে ও লোকালয়ে হাতির দল বিচরণ করছে। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের না হওয়া ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে ৩০ থেকে ৩৫টি বন্যহাতি কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে নালিতাবাড়ীর সমশ্চুড়া থেকে ঝিনাইগাতীর গজনী পাহাড় এলাকায় অবস্থান করছে। দিনের বেলায় গহিন পাহাড়ে অবস্থান করে তারা। সন্ধ্যা হলেই খাবারের খোঁজে নেমে আসে লোকালয়ে। এমনকি দিনের বেলায়ও সীমান্ত সড়কে দেখা যাচ্ছে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গারো পাহাড়ের গজনী দরবেশতলা এলাকায় হাতির আক্রমণে আজিজুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। একই রাতে মাত্র দেড় ঘণ্টা পর বাঁকাকুড়া শালবনের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে এফিলিস মারাক (৪৫) নামে আরেকজন হাতির আক্রমণের শিকার হন।
তিন বন্ধুকে নিয়ে হাঁটছিলেন এফিলিস। এ সময় বনের ভেতর থেকে বের হওয়া হাতির দল তাদের তাড়া করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও তিনি বাঁচতে পারেননি। তাঁকে হাতি পা দিয়ে পিষে ও শুঁড় দিয়ে আছড়ে টুকরো টুকরো করে মেরে ফেলে। স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, বন্যহাতির আক্রমণে দু’জনের মৃত্যুর পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় যাচ্ছেন না কেউ।
এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের গান্দিগাঁও এলাকার দলনেতা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, হাতির পাল জঙ্গলে ফেরাতে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। বিকেল থেকে এ পথে গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, হাতির দলটি পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
- বিষয় :
- শেরপুর