ফতুল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহত শাকিল হোসেন নাঈমের মা নাজমা বেগমের আহাজারি- সমকাল
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২০ | ১২:০০ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ | ১৫:০২
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের দু'পক্ষের সংঘর্ষে শাকিল হোসেন নাঈম নামে একজন নিহত এবং আরও দু'জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম ওই এলাকার মৃত খলিল মিয়ার ছেলে। আহত দুই কিশোর আল আমিন ও লিমনকে নারায়ণগঞ্জ দেড়শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় হৃদয় ও হাবিব নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন নাঈমের মা নাজমা বেগম।
নিহত-আহত ও গ্রেপ্তারকৃতরা বয়সে কিশোর। তাদের সবার বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তারা পেশায় গার্মেন্টকর্মী হলেও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য এবং এলাকায় মাদকের খুচরা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। সরকারদলীয় স্থানীয় একটি পক্ষ তাদের মদদ দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, নিহত নাঈম, আহত লিমন, আল আমিন, রহিমসহ আরও কয়েকজন সমবয়সী একসঙ্গে চলাফেরা করত। শুক্রবার রাতে একসঙ্গে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় কোনো বিষয় নিয়ে আল আমিনের সঙ্গে লিমনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আল আমিনকে মারধর করে লিমন। আল আমিন বাসায় ফিরে তার মা স্বপ্না বেগমকে ঘটনা জানায়। এরপর স্বপ্না ও তার ভাই হাবিব ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে লিমনের সঙ্গে তাদেরও কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তাদেরও মারধর করে লিমন। এ খবর জানতে পেরে আল আমিনের চাচা হৃদয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে লিমন ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা চালায়। নাঈম ও লিমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নাঈমকে নারায়ণগঞ্জ দেড়শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানান, এলাকার এই গ্রুপটি বখাটে হিসেবে চিহ্নিত। এর আগে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
- বিষয় :
- ফতুল্লা
- কিশোর গ্যাং
- সংঘর্ষ
- নিহত
- নারায়ণগঞ্জ