নোয়াখালীতে কিশোরী ধর্ষণ, ১৫ দিন পর এসপির নির্দেশে মামলা

প্রতীকী ছবি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০ | ১০:০২
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কিশোরী ধর্ষণের ১৫ দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেনের হস্তক্ষেপে মামলাটি হয়। শনিবার রাতে চরজব্বার থানায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলায় চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোলেমান বাজার এলাকার মুসলিম মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলায় ধর্ষণের সালিশদার মাহে আলম মেম্বারকে আসামি করা হয়নি।
গত ২৫ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীকে আরিফ দুই দফা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। কিশোরীর মা জানান, এ ঘটনায় তিনি চরজব্বার থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তা না নিয়ে ওসি শাহেদ উদ্দিন সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটির মীমাংসা করার কথা বলেন। এরপর তিনি মাহে আলম মেম্বারকে ঘটনাটি জানান। ৪ অক্টোবর স্থানীয় সোলেমান বাজারে সালিশের আয়োজন করা হয়। এতে দুই শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিতে বাধ্য করা হয়। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিশোরীটি। সালিশে আরিফ ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে। তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলা হয়।
এ ব্যাপারে মাহে আলম মেম্বার সালিশ করার কথা স্বীকার করলেও টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, তিনি তিন-চার দিন আগে বিষয়টি জেনেছেন।
অভিযোগ আমলে না নেওয়ার ব্যাপারে চরজব্বার থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন কিশোরীর মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সালিশযোগ্য
অপরাধ না। যারা ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করেছে, তারাও অপরাধী। তাদের বিষয়ে
খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।