প্রেমিকাকে হত্যার পর লাশ খাদে ফেলে দেন আল আমীন: পুলিশ
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাররা -সমকাল
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:১৪
গাড়ির ভেতরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় নাজমাকে। তারপর পাটের বস্তায় ভরে তার লাশ ফেলে দেওয়া হয় কচুরিপানাবোঝাই এক খাদে। বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মায়ের কাছে যাওয়ার কারণেই প্রেমিকা নাজমাকে হত্যা করেন প্রেমিক আল আমীন ও তার বন্ধু সাজ্জাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার আল আমীন এভাবেই নাজমাকে হত্যার বর্ণনা দেন বলে জানান পিবিআইয়ের গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরইচুটি এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আল আমীনের সঙ্গে নাজমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরদোরা গ্রামের ওমর আলী শেখ মেয়ে নাজমা আক্তার ওই এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এরই মধ্যে প্রাইভেটকার চালক আল আমীনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এক পর্যায়ে নাজমা বিয়ের জন্য আল আমীনকে চাপ দেন। এতেও রাজি না হওয়ায় বাড়িতে গিয়ে আল আমীনের মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তব ও নালিশ দেন নাজমা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আল আমীন। পরবর্তীতে নিজের চালানো প্রাইভেটকারে নাজমাকে তাকে নিয়ে যান আল আমীন। এক পর্যায়ে গাড়ির ভেতরেই শ্বাসরোধে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে পাটের বস্তায় ভরে লাশ ফেলে দেওয়া হয় কালিয়াকৈরের টেকিবাড়ি পাকা রাস্তার পাশে চাঁনপুর এলাকার একটি খাদে। গত ৬ ডিসেম্বর পুলিশ নাজমার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাজমার ভাই শিপন মিয়া বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয় পিবিআইয়ের কাছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, বুধবার আল আমীনকে আশুলিয়া জিরানী বাজার এবং তার বন্ধু সাজ্জাদকে চন্দ্রার বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে তারা দু’জনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
- বিষয় :
- প্রেমিকা
- প্রেমিকাকে হত্যা