যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, বাধা দেওয়ায় বাবা-মাকেও মারধর

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অচিন্ত -সমকাল
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২১ | ০৬:০৬
চুরির অভিযোগ এনে অচিন্ত মন্ডল নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনে বাধা দেওয়ায় তার বাবা-মাকেও করা হয়েছে মারধর।
রোববার রাতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বড়হিজলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি একই গ্রামের অধির কুমার মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অচিন্ত মন্ডলের মা নমিতা মন্ডল বলেন, গত শনিবার রাতে পাশ্ববর্তী রেজাউল ইমলামের বাড়িতে চুরি হয়। রোববার রেজাউল লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করেন। তারা ছেলে অচিন্ত কুমার মন্ডলকে (২৫) ঘুম থেকে ডেকে তুলে ধরে নিয়ে যায়। এসময় আমি ও আমার স্বামী বাধা দিলে আমাদের কিল-ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে আমার ছেলেকে রেজা তার লিচু বাগানে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে লোহার রড, কাঠের বাটাম, হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন করে।
তিনি বলেন, আমার ছেলের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। ছেলেকে মারধরের পর পুনরায় আমাদের বাড়িতে এসে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। অচেতন অবস্থায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ছেলের পা ভেঙে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। এব্যাপারে সোমবার বিকেলে বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, অচিন্ত ছেলেটা খুব খারাপ। চুরি তার পেশা। এর আগে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গত শনিবার আমার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার চুরি হয়। একারণে তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তিনি স্বীকার করে যে স্বর্ণালংকার নিয়েছেন। এরপর এলাকার লোকজনকে অচিন্তর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার উদ্ধার করার কথা বলে আমি বাজারে চলে যাই। পরে গিয়ে শুনি তাকে মারধর করা হয়েছে। এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমি এটা ওদের করতে বলিনি। অচিন্তর বাবা-মাকে হুমকি দেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- চুরির অভিযোগে নির্যাতন
- বেঁধে নির্যাতন