খুলনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২১ | ০৬:৪৯
খুলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমান (৪৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত ১২টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে পাইকগাছা থানায় মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার উত্তর সলুয়া এলাকার মাছ বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান মাছ বিক্রির জন্য ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন। দীর্ঘ দিন মাছ কেনাবেচার সুবাদে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মিজানুর রহমান নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন এমন আশ্বাস দেন। গত ৩ মার্চ পাত্র মিজানুরের বাসায় এসেছে এমন কথা বলে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে বাসায় ডাকেন মিজানুর। ওই দিন বিকেল ৩টায় বাদি তার মেয়েকে নিয়ে মিজানুর রহমানের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে বিয়ের জন্য পাত্র ছিল না। মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং তার মাকে শরবত খেতে দেন। শরবত খাওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীর মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে দেখেন ওই বাড়িতে কেউ নেই,। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান মেয়ের মা।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, মেয়ের মা বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। ওইদিন রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন তারা। পরদিন সকাল ৭টায় কপিলমনি বাজারে তার মেয়েকে দেখা গেছে-এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে যান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী তার মাকে জানান, শরবত দিয়ে অজ্ঞান করার পর তাকে কয়রা উপজেলার একটি বাড়িতে নিয়ে যায় মিজানুর রহমান। সেখানে সারারাত তাকে ধর্ষণ করা হয়। সকাল বেলা তাকে কয়রা থেকে কপিলমুনি বাজার এলাকায় রেখে যায়। ৭ মার্চ রাত ১২ টার দিকে পাইকগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।