সিলেটে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ

সিলেট সিটি করপোরেশন ভবন
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২১ | ০৬:৩৫
প্রতিবারের মতো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঈদে কোরবানির পশু জবাইয়ের বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এবার বর্জ্য অপসারণে প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নগরজুড়ে কাজ করবে। তাদের মনিটরিংয়ের জন্য তিন স্তরের ব্যবস্থাও থাকবে। এদিকে নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে পশু কোরবানি করার জন্য ৩০টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সিসিক। পরিবেশ রক্ষায় নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে সিসিকের পক্ষ থেকে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিসিকের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে কেউ রাস্তাঘাটে কোরবানি দেবেন না। ড্রেন, ছড়া বা খালে কোরবানির বর্জ্য ও পশুর চামড়া ফেলবেন না। যত্রতত্র পশুর চামড়া না ফেলে বাসাবাড়িতে রাখবেন। প্রয়োজনে সিটি করপোরেশন বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি চামড়া সংগ্রহ করবে।
গত বছর অবিক্রিত অনেক চামড়া নগরীর বিভিন্ন জায়গা ফেলে রাখা হয়েছিল। এতে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধে আশপাশের বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস উঠে। গতবারের অভিজ্ঞতায় সিসিক এবারে অবিক্রিত বা বিলি করা হয়নি- এমন চামড়া সংগ্রহ করে নির্ধারিত ডাম্পিংয়ে ফেলার প্রস্তুতি নিয়েছে। করোনা মহামারির কথা বিবেচনায় কোরবানির বর্জ্য ছড়িয়ে যাতে পরিবেশ দূষণ না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র আরিফ।
এদিকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর ২৭ ওয়ার্ডকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এসব জোনে বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা হিসেবে সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৯০টি গাড়ি ও যন্ত্রপাতির সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন সিসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান।
মেয়র আরিফ জানিয়েছেন, ২৭ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম মনিটরিং করতে ৯ জন মনিটরিং অফিসার মাঠে কাজ করবেন। পাশাপাশি ঈদে পশু কোরবানির জন্য ৩০টি স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যেমন- চাটাই, টুকরি, সাবান, পানি, ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে। এছাড়া পশু কোরবানির জন্য দুজন সহায়তাকারী থাকবেন প্রত্যেক কেন্দ্রে।
মেয়রের ঈদ শুভেচ্ছা
এদিকে নগরবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেয়র বলেন, এবারও আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে যাচ্ছি একটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে। আপনারা জানেন, বিশ্বজুড়েই করোনা মহামারির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। ত্যাগের মহিমায় ঈদের দিন আমরা অনেকেই পশু কোরবানি দেব। তবে কোরবানির মাধ্যমে পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।