বরিশালে বাস-লঞ্চের টিকিটের হাহাকার, থ্রি হুইলারে রওনা
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২১ | ০৬:৪০
ঈদের পরের দিনই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। বরিশালে ঢাকা ফেরত যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় বাস ও লঞ্চ কাউন্টারে টিকিট মিলছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী থ্রি হুইলারে করে ঢাকার পথে রওনা করছেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। তাই আজ বৃহস্পতিবার ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেশি।
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে গিয়ে কথা হয় সাকুরা বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকরতা সাদেকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, জরুরিভাবে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন। তবে সব লঞ্চ কাউন্টারে ঘুরে টিকেট না পেয়ে এখন বাস কাউন্টারে এসেছি। বাসের টিকেটও নেই।
মাওয়া যাওয়ার জন্য থ্রি হুইলারে ওঠা যাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, লঞ্চ ও বাসের টিকেট পাইনি। এখন বাধ্য হয়ে থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রাতে উঠেছি। এতে ঝুঁকি আছে, তবে কিছু করার নেই। কর্মস্থলে ফিরতে হবে।
থ্রি হুইলারের আরেক যাত্রী খান মনিরুল ইসলামও বাস-লঞ্চের টিকেট না পেয়ে ৮শ টাকা ভাড়া দিয়ে মাওয়া যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাস ও লঞ্চের টিকেট আজ সোনার হরিণ। বাধ্য হয়ে থ্রি হুইলারে যেতে হচ্ছে।
বরিশালের সুন্দরবন, এডভেঞ্চার, সুরভী ও কীর্তণনখোলা লঞ্চ কাউন্টার ঘুরে টিকেট না পাওয়া মুশফিকুর রহমান বলেন, কোনো কাউন্টারে টিকেট পাইনি। কিন্তু ঢাকা যেতেই হবে। লকডাউন শুরু হলে চাকরি নিয়ে টান শুরু হবে আমার।
সৌদিয়া পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ ইমাম হোসেন বলেন, টিকেট অনেকে আগে থেকেই বুকিং হয়েছে। কিছু টিকেট ছিলো যা সকালেই শেষ হয়েছে। অনেক যাত্রী ভিড় করছে কিন্তু কাউকেই আর দিতে পারছি না।
বরিশাল-মাওয়া রুটের বি এম এফ পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ চঞ্চল মল্লিক জানান, যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। অনেক যাত্রীকেই আমরা নিতে পারছি না শিডিউল অনুযায়ী। তাই যাত্রীরাও ক্ষিপ্ত।
বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে কথা হয় সুরভী লঞ্চের কল ম্যান কবির শিকদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের পর দিনই এত মানুষ আগের কোন বছর দেহি নাই। ঘাঢে যাত্রীর ঢল নামছে।
বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকরতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ১০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। মানুষের ভিড় অনেক। তাই স্বাস্থ্য বিধি যথাযথভাবে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেয়া হবে না।
সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পিন্টু বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের টিকেট আগাম বিক্রি করা হয়েছে। কেবিনের কোনো টিকেটই নেই আমাদের কাছে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। যাত্রী চাপ রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে যা করার দরকার সেটা করার চেষ্টা করছি আমরা।