ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

তুলকালামের নেপথ্যে...

তুলকালামের নেপথ্যে...

ফাইল ছবি

সুমন চৌধুরী, বরিশাল

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২১ | ১৪:৩৮

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে স্থাপন করা বিলবোর্ড-ব্যানার এখনও দৃশ্যমান। সিটি করপোরেশন এলাকাজুড়েই একই চিত্র। এগুলো সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী নেতাকর্মীরা স্থাপন করেছেন। আর সদর উপজেলা পরিষদে শোক দিবসের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছিল সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষ থেকে। বুধবার রাতে সিটি করপোরেশনের কর্মী পরিচয়ে মেয়র অনুসারীরা সেগুলো অপসারণ করতে গেলে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে, ইউএনওর বাসায় কেউ হামলা করেনি। শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে ইউএনওর নির্দেশে আনসাররা গুলি করেছে। তবে বরিশালের রাজনীতির অন্দরমহলের খবর রাখেন এমন কয়েকজন নেতা সমকালকে জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। অন্য পক্ষটি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের। তিনি নগর রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও তার পক্ষে একটি বলয় কাজ করে যাচ্ছে। এই পক্ষটির অনেক নেতা সাদিক আবদুল্লাহর বিরাগভাজন। তার প্রতিও ওই নেতাদের ক্ষোভ রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সিটি করপোরেশনের ছয় কাউন্সিলর মেয়রের পক্ষ ত্যাগ করে প্রকাশ্যে প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হন। আরও অন্তত ২০ কাউন্সিলর প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নেবেন- এমন গুঞ্জন চলছিল নগরীতে।

সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাবা বর্ষীয়ান রাজনীতিক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বুধবার রাতের ঘটনার পর থেকে নীরব রয়েছেন। তিনি বরিশালেও নেই। তার প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতা জানান, নগরী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা নয়, উপজেলা পরিষদে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের সমর্থনে স্থাপন করা বিলবোর্ড-ফেস্টুন অপসারণ করে তাকে চাপে রাখাই ছিল মেয়র অনুসারীদের আসল উদ্দেশ্য। সেটি শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত সংঘর্ষে গড়ায় এবং প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ মুখোমুখি দাঁড় করায়। এ ছাড়া সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর বৈরী সম্পর্ক চলছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। বুধবার রাতের ঘটনায় সেটিরও প্রভাব রয়েছে।

ওই রাতের ঘটনায় ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে হুকুমের আসামি করা হয়েছে সাদিক আবদুল্লাহকে। পুলিশের করা আরেকটি মামলাতে তিনি প্রধান আসামি।

গতকাল শনিবার নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতের লাগানো বিশাল বিলবোর্ডে ঢাকা পড়েছে ঐতিহ্যবাহী মিলনায়তনটি। যদিও সেখানে প্রবেশের প্রধান দুটি ফটকে স্থাপন করা নোটিশে লেখা রয়েছে- 'অশ্বিনী কুমার হলের সৌন্দর্য রক্ষায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ব্যানার বিলবোর্ড-পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ'। সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত ইউএনওর বাসায় হামলা মামলার ৪ নম্বর আসামি।

কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিরোধ: বিসিসিতে ৩০ জন সাধারণ ও ১০ সংরক্ষিত কাউন্সিলর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কাউন্সিলর জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর কমপক্ষে ২৫ কাউন্সিলরের সঙ্গে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তার মধ্যে অন্তত ২০ জন কাউন্সিলের সঙ্গে মেয়রের মুখ দেখাদেখি বন্ধ বলে গুঞ্জন রয়েছে। কাউন্সিলদের অভিযোগ, মেয়র একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করেন। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ১৪টি স্থায়ী কমিটি গঠন করেননি তিনি। এমনকি বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অকার্যকর রেখে মেয়র তার অনুগত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকে সব ধরনের ক্ষমতা দিয়েছেন। এ নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আগে থেকেই থাকলেও প্রকাশ হয় চলতি আগস্টের শুরুতে।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৬০০ ব্যাগ করে খাদ্য সহায়তা দেন। অনেক কাউন্সিলর সেই ত্রাণ বিতরণ করেননি। মেয়রের ভয়ে তা করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ছয়জন কাউন্সিলর নিজ ওয়ার্ডে ওই সামগ্রীগুলো বিতরণ করেন। তারা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমির হোসেন বিশ্বাস, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আনিছুর দুলাল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাহাউদ্দিন বাহার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনিছুর রহমান শরীফ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ন কবির। এর পর পরই এই কাউন্সিলরদের কার্যালয় থেকে সচিব ও অফিস সহায়ক প্রত্যাহার করে নগর ভবনে সংযুক্ত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ করায় তাদের প্রত্যাহার করেন মেয়র। যদিও পরে কার্যালয়গুলোতে নতুন লোক দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছয় কাউন্সিলর প্রকাশ্যে প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং তার পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

কাউন্সিলর বাহাউদ্দিন বাহার সমকালকে বলেন, গত ৮ আগস্ট প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ করার পর কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যাহার করা হয়। তিন দিন পর যাদের নিয়োগ দেওয়া হয় তারা কেউ আগে সচিব পদে ছিলেন না। কাউন্সিলর অফিসের তথ্য নেওয়ার জন্য তাদের পদায়ন করা হয়েছে মেয়রের এজেন্ট হিসেবে।

কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, মেয়র বেশিরভাগ মাসিক সভা করেন তার বাসায়। ওই সভায় তার ক্যাডার বহিরাগতরাও উপস্থিত থাকেন। এমনও হয়েছে, কাউন্সিলররা নিচতলায় খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর মেয়র তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে সভা করেছেন। বিগত সভার কোনো রেজুলেশনও পাঠ করা হয় না। এক কথায়, স্বাক্ষর করা ছাড়া কাউন্সিলরদের আর কোনো ক্ষমতা নেই। এসব কারণে বেশিরভাগ কাউন্সিলর আপাতত মেয়রের বাসায় যাচ্ছেন না।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ক্ষোভ: নগর ভবনে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ৫০০ জন। তিন বছর আগে সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন। তাদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ২০ জনকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান, দু'জন নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রধান বাজেট কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপিদলীয় সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন এক বছর আগে। নিজের দলীয় অনুসারীদের নগর ভবনের গুরুত্বপূর্ণ শাখায় অস্থায়ী নিয়োগ দিয়ে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগও রয়েছে মেয়রের বিরুদ্ধে। গভীর রাত পর্যন্ত মেয়রের বাসায় বসিয়ে রাখার কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন। তবে চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয়ে এ নিয়ে কেউ কথা বলেননি।

কথায় কথায় নগর অচল: গত এক বছরের মধ্যে তিনবার বরিশাল নগরী অচল করে দিয়েছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীরা। প্রতিবারই বাস ও লঞ্চ, এমনকি কাঁচাবাজার বন্ধ করে নগরী অচল করে দেওয়া হয়। শত শত নেতাকর্মী দিয়ে ঘেরাও করা হয় থানা।

গত বছরের ডিসেম্বরে বিসিক শিল্পনগরীর এক নারী শ্রমিককে উত্ত্যক্ত করায় এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেন সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক। ওই যুবককে নিজেদের কর্মী দাবি করে তার মুক্তির দাবিতে কাউনিয়া থানা ঘেরাও করে মেয়র অনুসারী আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

কাশীপুর বাজারে ইজিবাইকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বাসদ কর্মী গোলাম রসুলকে মারধর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক দল কর্মী। এ ঘটনায় গোলাম রসুলের মামলায় চাঁদাবাজ রিপন মাঝিকে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হলে ওই দিনও বিমানবন্দর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে মেয়রের অনুসারীরা। নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেয়র অনুসারীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয় গত জুলাইতে। সুলতানের গ্রেপ্তার দাবিতে একইভাবে পুরো তিন ঘণ্টা শহর অচল করে রাখা হয়েছিল। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে ইউএনওর বাসায় হামলার পর মধ্যরাত থেকে বাস ও লঞ্চ চলাচল এমনকি কাঁচাবাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

গ্রেপ্তার ২১: সদর উপজেলার ইউএনওর সরকারি বাসভবন এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলায় এ পর্যন্ত ২১ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোমেন উদ্দিন কালু ও জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত।

মামলা প্রত্যাহারের দাবি: মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমানের অপসারণ দাবি করেছেন বরিশাল বিভাগের পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। গতকাল শনিবার বিকেলে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান। তারা বলেন, অন্যথায় শোকের মাস আগস্ট শেষে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। তবে কী কর্মসূচি দেবেন, এ বিষয়ে পরে জানাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ ছাড়া গতকাল পৃথকভাবে মানববন্ধন করেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হুমকি দিয়েছেন, মামলা প্রত্যাহার না হলে নগরীর ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা হবে না।

পরিকল্পিত চক্রান্ত- বললেন মেয়র: বুধবার রাতের ঘটনায় গতকাল রাতে নগরীর কালিবাড়ি সড়কের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি উপজেলা পরিষদের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন। তার দাবি, ঘটনাটির পুরোটাই পরিকল্পিত চক্রান্ত। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ক্যামেরার পূর্ণাঙ্গ ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হলে বিষয়টি উন্মোচিত হবে।

বুধবার রাতের ঘটনার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। তবে তিনি সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের জবাব না দিয়ে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ যারা তার জন্য প্রতিবাদ করেছেন, তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি না করতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, দুই বছর যাবৎ তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। বুধবার রাতের ঘটনাটি তারই বহিঃপ্রকাশ। তার পরিষদের মেয়াদ তিন বছর হলেও এখন পর্যন্ত উন্নয়ন বরাদ্দ পাননি তিনি। এটাও ষড়যন্ত্রের কারণে হয়েছে।

ব্যানার অপসারণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ব্যানার তো আমাদের দলের। এটা নিয়ে ইউএনও বাধা দিতে পারেন না। তিনি সরকারি চাকরি করেন। দলীয় ব্যানার লাগানো এবং অপসারণের দায়িত্ব আমাদের।

মেয়র বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হলে নিজেই থানায় চলে যাব। এ জন্য বাসার আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নেওয়া বা বাসা ঘেরাও করার প্রয়োজন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু, গাজী নাইমুল ইসলাম লিটু, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল।

আরও পড়ুন

×