ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নিখোঁজের ২৩ দিন পর ব্যবসায়ীর গলিত মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

নিখোঁজের ২৩ দিন পর ব্যবসায়ীর গলিত মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

নিহত মোফাজ্জল হোসেন

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৪:৩১ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৪:৪২

বগুড়ার শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন (৪৮) নিখোঁজের ২৩ দিন পর তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত মোফাজ্জল হোসেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পার লক্ষীপুর চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ হন।


গ্রেপ্তাররা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল (৩০) একই এলাকার ইসাহাকের ছেলে মিলন (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, তার স্বামী বিভিন্ন জেলা থেকে পান কিনে হাট বাজারে বিক্রি করতেন। গত ১৯ আগস্ট সকাল ৮টায় তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯টায় তাকে ফোন করা হলে তিনি একই উপজেলার মোকামতলায় আছেন বলে জানান। এরপর থেকে মোফাজ্জল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে গত ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন তিনি।

রাশেদা বেগম আরও জানান, একই গ্রামের রুবেলের সাথে তার স্বামী বেশি সময় কাটাতেন, একারণে রুবেলের বাড়িতে গিয়ে তাকেও না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায় গ্রামের লোকজন রুবেলকে খোঁজ করতে থাকে।  ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেলকে ধরে গ্রামে নিয়ে আসে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল স্বীকার করেন যে তিনিসহ তিনজন মিলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যান। পরে আশুলিয়ার মরাগাং এলাকার কাঁশবনে গলা কেটে মোফাজ্জলকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১০ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাঁশবন থেকে নিখোঁজ মোফাজ্জল হোসেনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা ব্যবসা সংক্রান্ত পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তাদের নামে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×