জমি নিয়ে বিরোধে বার বার পাকা ধানে মই

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১ | ০৭:৩৬ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২১ | ০৭:৩৬
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কালাই উপজেলার কাথাইল গোপীনাথপুর গ্রামে মোশারফ হোসেন নামে এক কৃষকের দেড় বিঘা জমির আধা-পাকা আমন ধানে ডামেক্লিন ওষুধ (গ্রাম ম্যাকসিন) ছিটিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ওই জমির ধান নষ্ট করা হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। এ যেন বার বার পাকা ধানে মই দেওয়া। এ ঘটনায় জমির মালিক প্রতিপক্ষ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলা থেকে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের চাষি মোশারফ হোসেন পার্শ্ববর্তী কাথাইল গোপীনাথপুর গ্রামের তার নিজস্ব দেড় বিঘা জমিতে আমন ধান লাগান। ধানগুলো পাকতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পর সেগুলো কাটার কথা। এরই মধ্যে গত সোমবার রাতে ক্ষেতে ডামেক্লিন ওষুধ ছিটিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। বুধবার সকালে মাঠে গিয়ে দেখেন তার ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের কাঁচা গাছ শুকিয়ে মাটিতে পড়ে আছে। অথচ আশপাশের জমিতে ধানগাছ আধা-পাকা রয়েছে।
জমির মালিক ও মামলার বাদী মোশারফ হোসেন জানান, ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ফসল ফলাচ্ছি। জমিও আমার দখলে রয়েছে। যদিও ওই জমি নিয়ে মামলা চলমান। মামলায় হেরে গেলে অবশ্যই জমি তাদের ছেড়ে দেব। তার আগে কেন ওরা বার বার আমার ফসল নষ্ট করছে। এর আগেও একবার এই জমির ফসল নষ্ট করেছে। তাই বাধ্য হয়ে দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, পরীবানু, বেদেনা খাতুন এবং শিল্পী বেগমের নামে মামলা করেছি।
মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে একটি মামলা চলমান, এটা সত্য। আমাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়ও আরেকটি মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলোতে মোশারফ হেরে যাবেন। তাই নিজেই এ কাজ করে আমাদের দোষারূপ করছেন। এটা তার পূর্বপরিকল্পিত কাজ।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, ফসল নষ্টের বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- জমি নিয়ে বিরোধ
- পাকা ধানে মই
- জয়পুরহাট