নারীর ক্ষমতায়নের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে; তবে তা অধিকাংশ নারী সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে। মূল দলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকলেও, তৃণমূলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ নামেমাত্র। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে বলা আছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৩ শতাংশে উন্নীত এবং পর্যায়ক্রমে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। গত নির্বাচনী ইশতেহারে নারীর সরাসরি নির্বাচনের কথা বলা ছিল।

বিএনপির ভিশন ২০৩০-এ সরাসরি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের কথা বলা না হলেও বলা আছে, সব কর্মকাণ্ডে নারী সমাজকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করবে, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সব বাধা অপসারণ করবে। বাস্তব ক্ষেত্রে তা যে শুধু কাগুজে প্রতিশ্রুতি, তা আবারও প্রমাণিত। নির্বাচন ঘিরে নারী রাজনৈতিক নেতা এবং নারী উন্নয়ন নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা সব সময় সাধারণ আসনে নারীর মনোনয়ন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। গণমাধ্যমে বড় দুই দলের নীতিনির্ধারকরাও বিভিন্ন সময়ে নারীর মনোনয়ন বৃদ্ধি, নারীর উন্নয়ন, নেতৃত্বের বিকাশ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বর্তমানে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে এ বিষয়টি যুক্ত করে আইনটি পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আইনটি অবিলম্বে পাস করা জরুরি। একই সঙ্গে সর্বস্তরের নির্বাচনে নারীর জন্য বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার সংস্কার করা ভীষণ প্রয়োজন।