নারী-পুরুষ সমতা আনার পাশাপাশি কর্মীদের কল্যাণার্থে নতুন দুটি বিশেষ ও অগ্রগামী নীতি বাস্তবায়ন করছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম নিত্যব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)। এসব নীতির মধ্য দিয়ে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূরীকরণ এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতেও প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করছি। উদ্যোগটি ইউনিলিভারের বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরির দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেখানে প্রত্যেক কর্মীর মর্যাদা ও প্রয়োজনীয়তাকে সম্মান দেওয়া হয়, যাতে তারা কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতার সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেন। একই সঙ্গে ইউনিলিভার আরও দুটি অগ্রগামী ও লিঙ্গ-নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো- 'প্রিভেনশন অন সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট' এবং 'সাপোর্ট সারভাইভার্স অব অ্যাবইউজ'।

অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজের পরিবেশ বজায় রাখা এবং কর্মীদের যে কোনো ব্যক্তি বা দলগত হয়রানি থেকে রক্ষা করতে এই নীতিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়। এখানে সমতা আনতে সেলস রিজিওনাল হেড এবং সি শিফট ম্যানেজার পদে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত দুই-তিন বছরে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে। সঠিক নীতিমালার কারণেই কিন্তু এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। টার্গেট ফিফটি ফিফটি করা। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেই নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি। তাহলে সমাজের সর্বস্তরে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা যাবে।

যে কোনো কর্মক্ষেত্রে নারীরা কাজ করুন না কেন, সর্বক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। নারীদের মানসিক প্রশান্তিও প্রয়োজন। কারণ অফিসের কাজের পাশাপাশি ঘরের কাজও সামলাতে হয় তাকে। তাই এমন একটা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেন তারা কোনোভাবেই মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত না হন। ইউনিলিভার নারী কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বলেই এখানে নারী-পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে পারছে।