ঢাকা রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার বিধান রেখে আইন সংশোধন হচ্ছে

অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার বিধান রেখে আইন সংশোধন হচ্ছে

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২২ | ০৮:১৩ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ | ০৮:১৩

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিধান রেখে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধন করা হচ্ছে। 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৈরি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০২২ আইনের সংশোধনী খসড়াটি গত ৩১ অক্টোবর মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দ্রুত খসড়াটি জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

খসড়া আইনটিতে বলা হয়েছে, অসাধু ব্যক্তিদের অপতৎপরতা রোধে যে সব বিধান রাখা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ইজারার শর্ত ভঙ্গকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা, তাদের সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা ও তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা।

আরও বলা হয়, উত্তোলন করা বালু পরিবহনের সময় কোন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই রাস্তা পরিবহণের সঙ্গে জড়িতদেরকেই মেরামত করে দিতে হবে। তাদের পক্ষে মেরামত করা সম্ভব না হলে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে।

বালুমহাল ইজারা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, বালুমহাল থেকে পরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন ও বিপণনের নিয়ন্ত্রণ, এ সংক্রান্ত সংঘটিত অপরাধসমূহ দমনসহ বালুমহাল ব্যবস্থাপনা সার্বিকভাবে যুগোপযোগী করতে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

খসড়ায় আরও বলা হয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন উর্বর কৃষি জমি রক্ষা, কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলনের ফলে ওই জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমি বা প্রতিবেশের যাতে ক্ষতি সাধন না হয়- তা বন্ধ করার বিধান রাখা হয়েছে। পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হয় কিংবা পার্শ্ববর্তী ভূমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের কারণ উদ্ভব হয়- এমন কোন ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি থেকেও কোন বালু বা মাটি উত্তোলন না করার বিধানও রাখা হয়েছে।

ইজারা কার্যক্রম দ্রুত অনলাইনে সম্পাদন, বালু উত্তোলন কার্যক্রম ও পরিমাণ মনিটরিং করার জন্য স্যাটেলাইট ডাটা ব্যাবহার বা সিসি ক্যামেরা স্থাপন বা ৬ মাস পর পর ডিজিটাল সার্ভে করার বিধান রাখা হয়েছে।

পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে আহরণযোগ্য বা উত্তোলনযোগ্য বালু (খনিজ বালু ও সিলিকা বালু ব্যতীত) বা মাটি অথবা অন্যান্য বালু মিশ্রিত যেখানে সংরক্ষিত আছে- এমন কোন উন্মুক্ত স্থান, চা বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশকে আইন অনুযায়ী বালুমহাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বালুমহাল ইজারা প্রদান বাবদ প্রতি বছর সরকারের একশ' থেকে দেড়শ' কোটি টাকা আয় হয়।

আরও পড়ুন

×