ঋতু এলেই রং বদল!
গ্রীষ্মের খেঁকশিয়াল দেখতে অনেকটা আমাদের খেঁকশিয়ালের মতোই!
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪৪
উত্তর মেরুর কিছু প্রাণী শীত আসার আগেই শীতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বদলে ফেলে নিজেদের গায়ের রং। সেই প্রাণীদের কথা জেনে নিই, চলো...
হেমন্তেই শীত চলে এসেছে যেন! শহর থেকে গ্রামের শীতের ঝাপ্টাটা একটু বেশি। তবু শীত অনেকের প্রিয় ঋতু। মজার বিষয় কি জানো, এই শীত যখন আসি আসি করে, ঠিক তখন থেকেই উত্তর মেরুর কিছু প্রাণী নিজেদের রং বদলাতে শুরু করে।
ভাবছো, তা কীভাবে সম্ভব? এ প্রাণীগুলোর বেলায় বলাই যায় যে, অসম্ভব বলে কোনো কথা নেই।
টার্মিগান
উত্তর মেরু বা সুমেরু অঞ্চলের অন্যতম প্রাণী টার্মিগান। এটি আমাদের বুনোহাঁস জাতীয় পাখি। গ্রীষ্মকালে এদের পালক কালো বা ধূসর থাকলেও শীতের আগমন টের পেলেই তারা তাদের পালক সাদা করে নেয়। তখন তাদের দেখতে একেকটা পুঁচকে মেঘের টুকরো মনে হয়! শুধু কি তাই? এ সময় শরীর বেয়ে তাদের পালক পায়ে নেমে আসে। পায়ের তালু ঢেকে যায় নরম পালকে।
শীতের সময় তারা গরমের উপযোগী ঘর বানিয়ে নেয়। যে ঘর প্রচণ্ড শীত থেকে তাদের বাঁচায়। গুঁড়ো গুঁড়ো তুষারপাতে যখন ব্যস্ত হয়ে যায় উত্তর মেরু তখনও তারা নিশ্চিন্তে উড়ে বেড়ায় চারদিক।
খেঁকশিয়াল
উত্তর মেরুর আরেক রং বদল করা প্রাণী স্থানীয় খেঁকশিয়াল। শরতে এ প্রাণীর বাদামি রং কমতে থাকে। কালচে বাদামি রঙের এ প্রাণীর রং পরিবর্তনের রহস্য হচ্ছে, রঞ্জক পদার্থ; যা তাদের পশমের গোড়ায় থেকে কাজ করে। শরতে এ পদার্থ তাদের রাঙিয়ে তোলে। কিন্তু শীতে এ রঞ্জক পদার্থ কাজ করতে না পারায় এরা সাদা হতে থাকে। একেবারে চোখ ধাঁধানো সাদা! তখন তাদের দেখে শ্বেতভল্লুক ভেবে ভুল করে অনেকেই।
তবে গোলমাল বাধে বসন্তে। তখন তাদের শরীরের রং উলট-পালট হয়ে যায়। একেবারে খাপছাড়া যাকে বলে আরকি!
খরগোশ
শরীরের বাহারি রং দিয়ে শত্রুদের ধোঁকা দিতে এখানকার বড্ড জানু প্রাণীটার নাম তুষার শুভ্র খরগোশ। মায়াবী খরগোশ বললেও মন্দ হয় না! শরতে এদের লোম অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে বড় হয়। তবে দূর থেকে দেখে তা বোঝার সাধ্য নেই কারও।
শরতের কালচে বাদামি রঙের এ প্রাণীও শীতে সাদা রূপ ধারণ করে। তবে জোড়াতালি দিয়ে বড় হওয়া তাদের পশম নিজেদের অনেক কাজে দেয়। প্রথম কাজ শত্রুকে বোকা বানানো। মায়াবী খরগোশগুলোর জোড়াতালির এ পার্থক্যটা ল্যান্ডস্কেপ ছাড়া ধরা যায় না।
আজব না? n
- বিষয় :
- ঋতু পরিবর্তন