- আন্তর্জাতিক
- ইউক্রেন সংকটের মধ্যেই বেলারুশে সামরিক মহড়া রাশিয়ার
ইউক্রেন সংকটের মধ্যেই বেলারুশে সামরিক মহড়া রাশিয়ার

ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগের মধ্যেই বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া। মহড়া উপলক্ষে রাশিয়া যে সংখ্যক সেনা পাঠিয়েছে; স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বেলারুশে আর কখনোই এত রুশ সেনা মোতায়েন হয়নি জানিয়ে এটিকে বিপজ্জনক পদক্ষেপ বলছে ন্যাটো। ইউক্রেন সংকটের মধ্যে এই মহড়া 'উত্তেজনা আরও বাড়াবে' বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে।
এদিকে কোনো হুমকিতেই কাজ হবে না বলে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপের কঠোর অবস্থান দেখতে চাইছে ব্রিটেন। মানবিক সংকট সহায়তায় ১ হাজার সেনা প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এদিকে আলোচনার পথ এখনও খোলা আছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভদ্মাদিমির চিজোভ। খবর এএফপি, আলজাজিরা ও রয়টার্সের।
ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করলেও রাশিয়া শুরু থেকেই প্রতিবেশী দেশটিতে হামলার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই বলে জানিয়ে আসছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশেরই ধারণা, মস্কো যে কোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাবে। এ সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ইউরোপজুড়ে বৃহস্পতিবারও নানান কূটনৈতিক বৈঠক হয়েছে। ৮ বছর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ করায়ত্ত করে নেয়।
বেলারুশে যে যৌথ মহড়া হতে যাচ্ছে, তাতে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা অংশ নেবে বলে ধারণা করছেন পশ্চিমা বিশ্নেষকরা। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের মিত্র।
ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়াকে 'গুরুত্বপূর্ণ' আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশকে 'নজিরবিহীন হুমকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভদ্মাদিমির চিজোভ বলেছেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সহায়ক হতে পারে বলে তার দেশ বিশ্বাস করে।
এদিকে ন্যাটো রাশিয়ার এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যুক্ত হওয়ার অধিকার বিষয়ে ইউরোপকে দৃঢ় থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার ন্যাটো সদর দপ্তর সফর করেন বরিস জনসন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
মন্তব্য করুন