ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে বাইডেন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৩:৩৭
ক্ষমতা গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন– এমন শঙ্কা থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তাঁর এমন উদ্যোগ খোদ মার্কিন প্রশাসনেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। অনেকে বলছেন, কিয়েভকে এত বেশি অস্ত্র দিলে সেটি তাদের মজুতে প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া অন্য কোনো অঞ্চলে অস্ত্রের প্রয়োজন হলে তখন ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এর পরই আশঙ্কা দেখা দেয়, তিনি হয়তো ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন। চলিত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে সেখানকার বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে ইউক্রেনের সৈন্যরা। তবে এসব অঞ্চল ধরে রাখতে এখন বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। রুশ বাহিনীর মুহুর্মুহু আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে আপসে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি তাড়াতাড়ি রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি চান বলে চলতি সপ্তাহে জানান। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁর শর্ত হচ্ছে, ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হতে হবে ইউক্রেনের। সেই সঙ্গে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিতের গ্যারান্টি দিতে হবে ন্যাটোকে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ১৯৯৪ সালের ‘বুদাপেস্ট স্মারকলিপির’ মাধ্যমে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু এটি ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে নিজ নিরাপত্তার জন্য ন্যাটোর সদস্য হতে চায় তারা।
অন্যদিকে যুদ্ধের পুরো সময়টায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে বারবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দেশটির মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন। গ্রীষ্মের পর এই সমস্যা শীতে বৃদ্ধি পাবে– এমন ধারণা থেকে ইউক্রেনীয়রা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সৌর বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছেন।