ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্যায় নষ্ট ফেনীর ৪৩ সেচ পাম্প

বন্যায় নষ্ট ফেনীর ৪৩ সেচ পাম্প

গত আগস্টের বন্যায় ফেনীতে বেশির ভাগ সেচ প্রকল্পের ক্ষতি হয়েছে। সেচ পাম্প অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় পানি উঠছে না। এগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি কৃষকদের সমকাল

 দিলদার হোসেন স্বপন, ফেনী 

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩১

গত আগস্টে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় সেচ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩টি সেচ পাম্প দ্রুত মেরামত না করলে আগামী বোরো মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। 
ফেনী বিএডিসি (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘জেলায় বিএডিসির ৪৩টি সেচ পাম্প রয়েছে। বন্যায় সেচ প্রকল্পগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো মেরামতের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
 ‘ফেনী বিএডিসি সেচ প্রকল্পটি বসানোর পর থেকে কৃষকরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। কিছুদিন পর বোরো মৌসুমে ধান চাষ করা হবে। কিন্তু সেচ প্রকল্প চালু না হলে ধান চাষ ব্যাহত হবে।’ কথাগুলো বলছেন ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান রুবেল।
একই অভিযোগ করছেন ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও সদর উপজেলার অনেক কৃষক। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে আগামী বোরো মৌসুমে ঘুরে দাঁড়াতে সেচ প্রকল্পগুলো মেরামত করা দরকার।
মোটবী ইউনিয়নের কৃষক মো. ওবায়দুল হক বলেন, ‘এক শ্রেণির লোক জমি থেকে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় সেচ পাম্পগুলো নষ্ট করে ফেলেছে। এগুলো ঠিক করা না হলে চাষাবাদ করা যাবে না।’
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজ করতে হলে পানি লাগবে। পানির জন্য সরকার সেচ প্রকল্প দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি জমিতে সেচ প্রকল্পগুলো বসানোর পর থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ সেচ প্রকল্প নষ্ট ছিল। তাই ফসল উৎপাদনে ব্যাহত হয়েছে। অনেক কৃষক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কৃষিকাজ করেছেন। সেচ প্রকল্পগুলো দ্রুত চালু করা জরুরি।’
পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের কৃষক মো. সফিকুর রহমান ও ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের কৃষক করিমুল হক ও ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের কৃষক একরামুল হক বলেন, ‘কৃষিকাজ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি ফেনী জেলার সব ইউনিয়নে জমিতে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালে সেচ প্রকল্পগুলো বসানোর পর থেকে ৯৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। যে কয়েকটি সেচ প্রকল্প চালু ছিল তাও সম্প্রতি বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ফসল উৎপাদন করতে কৃষকরা সমস্যায় পড়ছেন।’
মোটবী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খোন্দকার মো. জহির উদ্দিন ও কালিদহ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সেচ প্রকল্পগুলো থেকে দুই বছর সেচ সুবিধা পাওয়া যায়। এরপর এগুলো থেকে আর সেচ সুবিধা মিলছে না। সেচ প্রকল্পগুলো মেরামত করার জন্য বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত মেরামত করা না হলে বোরো মৌসুমে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে।’
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বন্যার পানিতে সব সেচ প্রকল্প ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সেচ প্রকল্পগুলো মেরামতের কাজ চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×