
যখন একাধিক কাজ : আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি একসঙ্গে একাধিক কাজ করার প্রবণতা কাজ করে। একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে অল্প সময়ে কাজ ঠিকই কমে যায়; কিন্তু এতে আপনার মধ্যে যে কাজের চাপ সৃষ্টি হয়, তা শারীরিক আর মানসিকভাবে আপনাকে দুর্বল করে তোলে। তাই কর্মক্ষেত্রে একই সঙ্গে একাধিক কাজ করার প্রবণতা বন্ধ করুন।
কাজ হোক সংগঠিত : কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ কমানোর আরও একটি কার্যকরী উপায় হলো কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সংগঠিত থাকা। সহকর্মীর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা আপনার প্রতিযোগীর বদলে সহযোগীতে রূপান্তরিত হয়, আর যেটা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে চনমনে আর স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
মানিয়ে নেওয়া প্রতি মুহূর্তে : কাজের জায়গায় যত তাড়াতাড়ি আপনি নিজেকে মানিয়ে নেবেন, কাজের ওপর চাপ তত আপনার কাছে কম হতে থাকবে। যে চেয়ারটায় বসে আপনি কাজ করবেন সেটি যদি আপনার কাছে আরামদায়ক না মনে হয় তাহলে আপনি যেমন স্বস্তিতে বসে কাজ করতে পারবেন না, ঠিক একইভাবে কর্মস্থলকে মানিয়ে নিতে না পারলে আপনি কাজের চাপ এড়িয়ে কাজ করতে পারবেন না।
দিন শুরু হোক সকালে : ১০ থেকে ২০ মিনিট দেরি করে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানো আপনাকে কাজের চাপে যেমন বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে, ঠিক একইভাবে সময়মতো কাজের জায়গায় যেতে পারলে সারাদিনের কাজের চাপ অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। তাই সকালবেলা কর্মক্ষেত্রে সময়মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
সুস্থতায় এগিয়ে চলা : কাজের চাপ কমিয়ে আনতে আপনার নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া ভীষণ দরকারি। প্রতিদিন ঠিকমতো ঘুমানো, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা আর নিজের আত্মবিশ্বাস একটু একটু করে বাড়িয়ে তোলা এই কাজগুলো আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট রেখে আপনার কর্মক্ষেত্রের কাজের চাপ মানিয়ে নিতে অনেকটাই ভূমিকা রাখে।
মন্তব্য করুন