করোনা মহামারি মোকাবিলায় গত ছয় মাসে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। প্রায়ই এখানে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া অ্যাডহকভিত্তিক নীতি সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, কতজন মারা গেছেন এবং কত পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। সরকারি যে পরিসংখ্যান আছে, তা নিয়েও বিতর্ক আছে। মঙ্গলবার রাতে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত 'কভিড-১৯-এর তথ্য প্রকাশ :আমরা কি সঠিক প্রশ্ন করছি?' শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. রওনক জাহান, সেনেগালভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইপিএআরের গবেষণা পরিচালক ইব্রাহিমা হেতেই, কানাডাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিসিআইসির গবেষণা পরিচালক শ্যানন কিনডারনয়ই, ইউএন ডেসার টেকসই উন্নয়ন বিভাগের নীতি ও বিশ্নেষণ শাখার প্রধান ড. শান্তনু মুখার্জী, উগান্ডায় বিজিআইডির আঞ্চলিক গবেষণা প্রধান ড. মুন্সি সোলায়মান এবং পেরুর গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্রেডের সিনিয়র গবেষক ড. লরেনা এলকাজার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. রওনক জাহান বলেন, কভিড-১৯ সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাক্কার শঙ্কা নিয়ে কথা হচ্ছে। চলতি মহামারি নিয়ে গত ছয় মাসে সার্বিক যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তার অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হলো, আমরা কি এ-সংক্রান্ত সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান জনগণকে জানাতে পেরেছি? এখানে কতজন সংক্রমিত হলেন, কতজন মারা গেলেন ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন আছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা কী করছি, তা দেখার বিষয়। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা কীভাবে চলেছে, তা দেখতে হবে। শান্তনু মুখার্জী বলেন, কভিড মহামারির আগেই এসডিজি বাস্তবায়ন সঠিক পথে ছিল না। নতুন প্রেক্ষাপটে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়ে সবাই চিন্তিত।

ইব্রাহিমা হেতেই বলেন, মহামারির মতো সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্তব্য করুন