সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জনগণের জন্য যুদ্ধ করেছেন বলে জানিয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা করে গেছেন।

আলবদর বাহিনীর লোকেরা অশিক্ষিত ছিল না। অশিক্ষিত লোক হলে তারা নিরীহ বুদ্ধিজীবীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করতে পারত না, হয়তো তাদের হাত নড়ে উঠত, বুক কাঁপত, হয়তোবা চোখে আসত পানি।

গত ৫ আগস্ট ঘটেছেটা কী? সেটার বিবেচনা খুবই জরুরি। কেউ বলছেন, আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। কারও কারও ধারণা আরও অগ্রসর। তারা বলছেন, দেশে একটা বিপ্লবই ঘটে গেছে।

বইয়ের ভবিষ্যৎ আজ মানুষের ভবিষ্যতের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, বই এখন খুব দুর্দিনে আছে। মুনাফাবাদী বিশ্বব্যবস্থা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে, স্বার্থপরে পরিণত করছে। মানুষ বই পড়ায় আগ্রহী না হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, তা অনেকখানি থিতিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় বসেছে।

বুদ্ধিজীবী ও সমাজতান্ত্রিক চিন্তাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ঔপনিবেশিক শক্তি লুণ্ঠন করে, শোষণ করে। শোষণের মধ্য দিয়ে যা পায় সেটা পাচার করে। বাংলাদেশে বর্তমানে সে ঘটনাই ঘটছে। এখানে যারা ধনী তারা ব্যাংক লুণ্ঠন, ভূমিদস্যুতাসহ নানাভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে।

ব্যাপারটা নতুন নয়, প্রকৃতির ওপর মানুষের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত পুরাতন বটে, প্রকৃতিকে জয় করতে হবে– এ প্রতিজ্ঞা নিয়েই সভ্যতা এগিয়েছে। প্রকৃতিকে মানুষ ব্যবহার করছে, নিজের কাজে

প্রতিষ্ঠিত শোষণ ও নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লব রাশিয়ায় যে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, তার ফলে অনেক পুরোনো ধারণা ভেঙে গিয়েছিল। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের নতুন অর্থ উন্মোচিত হলো।

হায়দার আকবর খান রনোর (১৯৪২-২০২৪) মৃত্যুর পরে সংবাদপত্রে তাঁর যে পরিচয়টি বিশেষভাবে উল্লিখিত হয়েছে, সেটা হলো একজন ‘প্রবীণ রাজনীতিবিদ’। পরিচয়টি অবশ্যই অসত্য নয়; তাঁর বয়স হয়েছিল এবং তিনি যে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন, সেটা অস্বীকার করবে কে? কিন্তু ‘প্রবীণ রাজনীতিবিদ’ বললে তাঁর সম্পূর্ণ পরিচয়টি মোটেই ফুটে ওঠে না।

চুপ করে আছে বলেই যে চুপ আছে– জাপানিদের সম্পর্কে এটা মনে না-করার প্রবণতা বেশ ব্যাপ্ত। এ নিয়েও গল্প রয়েছে। ধরা যাক একটা হাতি এসেছে। সেখানে যদি একজন ইংরেজ থাকে তাহলে সে ভাববে, হাতিটি নিশ্চয় আমাদের উপনিবেশগুলোর কোনো একটি থেকে এসেছে।