আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে অচলাবস্থা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। তাঁদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় গতকাল বুধবার ফের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৯:৫৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। তাঁদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় গতকাল বুধবার ফের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুটি বাদে অন্য আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। দাবিগুলো
মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং মোহাম্মদ ফারুকের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক) অপসারণ, আলোচিত নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে আদালত বর্জন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। পরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ১৬ জানুয়ারি থেকে দুটি বাদে অন্য আদালতে যাওয়া শুরু করেন তাঁরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় ৩০ জানুয়ারি বিশেষ সাধারণ সভায় বসে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সেই সময়সীমা অতিক্রম করায় গতকাল পুরোনো কর্মসূচি নতুন করে শুরু করেছেন তাঁরা। এটি চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এতদিন দুটি বাদে অন্যান্য কোর্ট স্বাভাবিক গতিতে চললেও বুধবার ফের অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। আদালতের কার্যক্রমে আইনজীবীরা অংশ না নেওয়ায় দৈনিক ৮-১০ হাজার মানুষ বিচারিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঞা বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিলে আদালতে যেতে এক মিনিটও বিলম্ব করব না। তা ছাড়া বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করেও আমরা এ কর্মসূচি আর বাড়াতে চাই না। এর সঙ্গে শত শত আইনজীবীর রুটি-রুজির বিষয়ও জড়িত। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
- বিষয় :
- আদালত বর্জন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- দায়রা জজ আদালত