ঢাকা শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দাম কম, বিক্রি না করে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন চাষি

দাম কম, বিক্রি না করে  ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন চাষি

বালিয়াকান্দির মাশালিয়া বাজারে শনিবার ভ্যান থেকে পেঁয়াজ নামাচ্ছেন শ্রমিকেরা -সমকাল

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নতুন পেঁয়াজ ঘরে উঠলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। দাম কম হওয়ায় অনেকেই বাজার থেকে পেঁয়াজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়ছেন চাষিরা। এদিকে শেষ সময়ের বৃষ্টিতে পেঁয়াজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় তালিকাভুক্ত কৃষক রয়েছে ৩৩ হাজার। সরাসরি পেঁয়াজ চাষে যুক্ত রয়েছে ২৬ হাজার। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১০ টন।

সরেজমিন বহরপুর ও বালিয়াকান্দি বাজারে দেখা যায়, প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ৬০০-৭০০ টাকা। দাম কম হওয়ায় অনেকেই পেঁয়াজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

বহরপুর ইউনিয়নের খাট্রা গ্রামের মাসুদ হোসেন ও সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের চাষি মো. বাবুল খান জানান, পেঁয়াজের উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম একেবারেই কম। বর্তমান বাজারদরে উৎপাদন খরচ উঠছে না। লাভ তো দূরের কথা, প্রতি মণে ঘাটতি যাচ্ছে ৪০০ টাকার মতো। এক মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। অথচ বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ সর্বোচ্চ ভালো পেঁয়াজের দাম ৭০০ টাকা। এতে মণে ৪০০-৫০০ টাকার মতো ঘাটতি।

বালিয়াকান্দি বাজার পেঁয়াজ আড়ত সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি জানান, গত বছর পেঁয়াজ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১৪০০-১৬০০ টাকা। এবার সেই পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার এরই মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছে। বালিয়াকান্দিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার কারণে বাজারদর একটু কম রয়েছে। বর্তমানে দাম একটু কম থাকায় এ অঞ্চলের কৃষক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন

×