সরকারি ঘর, ভাতার কার্ড দিতে ঘুষ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
ঘুষ নিয়ে সরকারি ঘর, বিধবা, বয়স্ক, ভিডব্লিউবি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রতারণা করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার ৫০০, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ৪ হাজার ৫০০, ভিডব্লিউবি ভাতার কার্ডের জন্য ৩ হাজার এবং মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ ছাড়া ইউপি সদস্য আমিনুল রহমান বাবু সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. মামুনের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেও অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা এসব উপকারভোগীর অনুকূলে কোনো ভাতার কার্ড কিংবা সরকারি ঘর বরাদ্দ দেননি। ঘুষ হিসেবে দেওয়া টাকা এখন ফেরত চান ভুক্তভোগীরা। সেই সঙ্গে ইউপি সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেরুলী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি কবির হোসেন ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হারেজ মোল্লা।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্যরা। তারা বলছেন, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে ২০ আগস্ট উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুট, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ৯ ইউপি সদস্য একসঙ্গে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দোষ ঢাকার জন্য এই নাটক সাজিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, ইউপি সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কারণ, পরিষদের যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে সবার সম্মতি লাগে এবং রেজুলেশন করতে হয়। সেখানে তাদের স্বাক্ষর থাকে। ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে যে মানববন্ধন হয়েছে, তা এলাকার জনগণ করেছেন। এখানে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
- বিষয় :
- রাজবাড়ী
- বালিয়াকান্দি
- ঘুষ