শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাংগা দড়িপাড়া গ্রামে ছেলের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লাশ হলেন আবদুল্লাহ (৬৬) নামের এক কৃষক। সোমবার বিকেলের এ ঘটনায় তার দুই ছেলে আহত হয়েছে। তাদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় ওই গ্রামের মমতাজ ওরফে টারুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত অবস্থায় তিনি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা নিয়ে নিহতের ছেলে নিয়মত উল্লাহ'র সঙ্গে মমতাজ ওরফে টারুর বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে সালিশ বৈঠকে টারুকে দ্রুত টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। এরপরও তালবাহানা করছিলেন তিনি। সোমবার বিকেলে আবদুল্লাহ তার দুই ছেলেকে নিয়ে টারুর কাছে টাকা চাইতে যান। এ সময় কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে টারু লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এর এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আবদুল্লাহর মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আবদুল্লাহর দুই ছেলে বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই ছেলে ও প্রতিপক্ষের দু'জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় এবং টারুসহ দু'জনকে আটক করে।

শ্রীবরদী থানার ওসি মো. রহুল আমিন তালুকদার জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত দু'জনকে আটক করা হয়েছে।