রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পরকীয়া প্রেম সন্দেহে মো. সাহিন খান (৩৪) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।  তিনি  উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছিদ্দিক কাজীর পাড়া গ্রামের মৃত রহমান খানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত শাহিন খানের দুই স্ত্রী। তারপরও তিনি স্থানীয় জামাল মোল্লার মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন বলে সন্দেহ করে মেয়েটি পরিবার। এ নিয়ে গত ২৯ জুন রাতে সাহিন খানের সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। তারই জেরে ৩০ জুন রাতে শাহিন খানকে তার বাড়ি হতে ডেকে এনে পাশের রাস্তার ওপর জামাল মোল্লা (৫৫) এবং তার দুই ছেলে আমানত মোল্লা (২০) ও শামিম মোল্লা (১৯) মারপিট করেন। এতে সাহিন পাকা রাস্তার ওপর পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পর গত ২ জুলাই সাহিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে গত ১০ জুলাই তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে মারামারি ওই ঘটনায় নিহত সাহিন খানের মামা ছোবাহান মোল্লা বাদি হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে মারামারির ঘটনায় মামলাটি হয়েছে সেটিই হত্যামামলা হিসেবে গণ্য হবে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়ছে। নিহত সাহিনের লাশ ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।