- সারাদেশ
- খুলনায় গুলিবিদ্ধ লামিয়া শঙ্কামুক্ত
খুলনায় গুলিবিদ্ধ লামিয়া শঙ্কামুক্ত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লামিয়া -সমকাল
খুলনার গুলিবিদ্ধ কিশোরী লামিয়ার (১৪) পায়ে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসায় উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদার ইউসুফ আলী অস্ত্র নিয়ে ৪ তরুণকে তাড়া করেন। তরুণদের লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লামিয়ার পায়ে লাগে। পরে নিজে বাঁচতে ওই ৪ তরুণের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছেন ইউসুফ আলী। সেই মামলায় রোববার ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
তারা হলেন- যশোরের কেশবপুরের মোহাম্মদ আবু সাঈদ (২২), বাগেরহাটের রামপালের ইসমাইল মল্লিক (২৭), খুলনার মেহেদী হাসান (২১) ও খুলনার দৌলতপুরের পাবলা এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৩)। তারা খুলনার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
এদিকে তিন দিন পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লামিয়ার পা থেকে গুলি বের করেছেন চিকিৎসকরা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার মন্ডল জানান, সোমবার সকাল ৯টায় অর্থপেডিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মেহেদী নেওয়াজ ও ডা. অনুপ কুমার মজুমদারের তত্ত্ববধানে লামিয়ার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। দুপুর নাগাদ তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে বের করা হয়। পায়ের গুলি বের হওয়ায় লামিয়া এখন পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত। চেকআপের জন্য আরও কয়েকদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
খুলনা সদর থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঠিকাদারের করা চাঁদাবাজি মামলায় ৪ তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আটক যুবকরা কিছু তথ্য দিয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
তবে ঠিকাদার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রেফতার চার তরুণের স্বজনেরা। গ্রেফতার সাইফুলের মামা মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগ করেন, ঠিকাদার ইউসুফ আলীর মেয়ের সঙ্গে গ্রেফতার একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলে গত কয়েক দিন ধরে ফোন দিয়ে মেয়ের নম্বরটি বন্ধ পায়। পরে সে জানতে পারেন, মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন ঠিকাদার। এ অবস্থায় তিন বন্ধুকে নিয়ে সে ঠিকাদারের বাড়িতে যায়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদার ইউসুফ আলী প্রথমে তাদের গালিগালাজ করেন এবং পরে পিস্তল দিয়ে তাড়া দেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় স্কুলছাত্রী লামিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। পরে জানা যায়, একই এলাকার ঠিকাদার ইউসুফ আলী দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছেন। এর একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লামিয়ার পায়ে বিদ্ধ হয়েছে। লামিয়া ইকবালনগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মন্তব্য করুন