সেমিনারে তথ্য
চট্টগ্রামের ৩২% খাস জমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব

বুধবার নগরীর জিইসি মোড়ের একটি রেস্তোরায় সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ছবি: সমকাল
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩:২৫ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩:২৫
চট্টগ্রাম বিভাগের আট জেলার ৩২ শতাংশ খাসজমিতে (৩৫ হাজার ৩৫৬ দশমিক ১৩ একর) ১৪ হাজার ৯১৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, যা বর্তমানে দেশের মোট চাহিদার প্রায় সমান। একইভাবে শুধু নোয়াখালীতেই ৫ হাজার ৯১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
বুধবার নগরীর জিইসি মোড়ের একটি রেস্তোরায় ‘পরিবেশ আইনবিদ সমিতি’ ও ‘ক্লিন’ নামে দুটি সংগঠন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা: ভূমিস্বল্পতার অজুহাত ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনার ও কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগে বলা হতো, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা দুরূহ। সরকার ইচ্ছা করলেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করতে পারে। আমরা চাই সরকারের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ বাস্তবায়িত হোক।
সেমিনারে জানানো হয়, আট জেলায় ৭ লাখ ৯০ হাজার ৩৬১ দশমিক ৭১ একর খাসজমি রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ১২৪ দশমিক ৯৫ একর অব্যবহৃত, যা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলা কমিশন খাসজমির তথ্য দেয়নি। নোয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯২১ মেগাওয়াট সৌর প্লান্ট স্থাপন করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে কমপক্ষে ১০ হাজার ৪৯৯ কোটি বর্গমিটার ছাদে প্লান্ট স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিন-এর প্রধান নির্বাহী মেহেদী হাসান। আলোচনায় অংশ নেন চুয়েটের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন গবেষণা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই সোলার পাওয়ার প্লান্টের সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ পারভেজ প্রমুখ।