- সারাদেশ
- ভরা বর্ষায় মাঠ ফেটে চৌচির, মরছে ধানের চারা
ভরা বর্ষায় মাঠ ফেটে চৌচির, মরছে ধানের চারা

ভরা বর্ষায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির। ছবিটি আজ শনিবার (১ শ্রাবণ) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চৈথট্র থেকে তোলা। সমকাল।
শ্রাবণ মাস। উপযুক্ত সময় আমন ধান রোপণের। অথচ ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির। বৃষ্টির দেখা নেই। মারা যাচ্ছে বীজতলায় ধানের চারা। আকাশপানে চেয়ে আছেন কৃষক।
মহাবিপাকে পড়ে ঘরের কোণে অলস সময় কাটাচ্ছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কৃষকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ সেচযন্ত্র চালুর মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের পরামর্শ দিয়েছে।
উপজেলার গালা গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন বলেন, আমন ধানের ক্ষেত প্রস্তুত ও রোপণ সম্পূর্ণ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে পানি না থাকায় আমন ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পানির অভাবে জমি প্রস্তুত করা যাচ্ছে না, অন্যদিকে পানির অভাবে বীজতলা শুকিয়ে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মহাবিপদে আছেন চাষিরা।
চৈথট্র গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া জানান, অন্যান্য বছর এই দিনে জমিতে আমন ধান লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে পানি না থাকায় ধান রোপণ করা যাচ্ছে না। অপেক্ষা বৃষ্টির। আমনচাষে বিঘ্ন ঘটলে প্রান্তিক চাষিরা লোকসানে পড়বে বলে তিনি জানান।
এদিকে, কেউ কেউ সেচযন্ত্রের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করলেও অনেক কৃষকই তা পারছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে। আষাঢ় মাস রোপা আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় আমন রোপণে বিলম্ব হচ্ছে। কৃষকদের সম্পূরক সেচের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের সেচযন্ত্র চালু রেখে সেচ প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন