ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাদ্রাসায় পাঠদানে ভরসা আয়া-নৈশপ্রহরী

মাদ্রাসায় পাঠদানে ভরসা আয়া-নৈশপ্রহরী

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ি শাখায় ক্লাস নিচ্ছেন আয়া রত্না খাতুন সমকাল

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০০:৪১

উল্লাপাড়ার বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় ক্লাস নেন আয়া ও নৈশপ্রহরী। শিক্ষক সংকটের কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুই কর্মচারী নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষকের জন্য মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন জানালেও কাজ হচ্ছে না বলে জানান সহকারী সুপার।
সোমবার সরেজমিন মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, ইবতেদায়ি শাখায় তৃতীয় শ্রেণিতে তিন শিক্ষার্থী। তাদের গণিত ক্লাস নিচ্ছেন আয়া রত্না খাতুন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ক্লাস নিচ্ছিলেন কারি শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব। এই শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ছিল দু’জন। প্রথম শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী তখনও উপস্থিত হয়নি। এই শ্রেণির পাঠদান করেন নৈশপ্রহরী নাঈম হোসেন। এ সময় এক শিক্ষক জানান, ইবতেদায়ি শাখায় খাতা-কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী দেখানো আছে ২৭৬ জন। তবে মাদ্রাসা ঘুরে দেখা যায়, ইবতেদায়ি শাখায় ১০ শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক শাখায় ৪৩ জন। 
আয়া রত্না খাতুন ও নৈশিপ্রহরী নাঈম হোসেন জানান, নির্ধারিত দায়িত্বের পাশাপাশি তারা ইবতেদায়ি শাখায় ক্লাস নিয়ে আসছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে এ দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
সহকারী সুপার ইব্রাহিম খলিল জানান, ইবতেদায়ি শাখায় পাঁচজন শিক্ষক। তাদের মধ্যে তিনজন দেড় বছর ধরে অনুপস্থিত। একই অবস্থা মাধ্যমিক শাখায়ও। সেখানে ৯ শিক্ষকের মধ্যে তিনজন নেই। দুটি শাখা চালাতে হচ্ছে আটজন শিক্ষক দিয়ে। এ কারণে আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্লাস নেওয়াতে হচ্ছে। শিক্ষক চেয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। ছাত্র সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শীতের কারণে ছাত্র উপস্থিতি কম। 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক জানান, শিক্ষক না থাকলেও আয়া বা নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়ার বিধান নেই। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন

×